Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবস্থানের ঘোষণা

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে শনিবার বেলা একটা পাঁচ মিনিটের দিকে বাকের বলেন, আমাদের আলটিমেটাম ছিল দুপুর একটার মধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হবে, কিন্তু এখনও তারা পদত্যাগ করেননি।
একটু আগে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন উনারা কিছুক্ষণের মধ্যে পদত্যাগ করবেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পদত্যাগ না করেন, ততক্ষণ আমরা এখানে অবস্থান করব।
এর আগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের পদত্যাগে আলটিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে এ আলটিমেটামের কথা জানান।
দুপুর ১২টায় দেয়া পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেন, কাউন্টডাউন শুরু। আর ৫৯ মিনিটের মধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতির পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হওয়া আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে দুপুর সোয়া ১২টায় দেয়া স্ট্যাটাসে লিখেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতিসহ অ্যাপিলেট ডিভিশনের সাতজন বিচারপতির পদত্যাগ চাচ্ছি আমরা।জেলা জজ কোর্টের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সকলের প্রতি আহ্বান কোনো জেলায় জজ কোর্টের দিকে অবস্থান নেবেন না। বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দাবি ও কর্মসূচি স্পষ্ট। শান্তিপূর্ণভাবে শুধুমাত্র হাইকোর্টের আশেপাশে অবস্থান নিন। পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং দেশ গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় আইনজীবীরা আইনজীবী ভবনের সামনে আর শিক্ষার্থীরা অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি উঠতে থাকে।
ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকে একের পর এক বিক্ষোভ আর পদত্যাগের দাবির প্রেক্ষাপটে অবশেষে পদত্যাগ করেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
এর আগে একজন ডেপুটি গভর্নর ও চারজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন ব্যাংকটির আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা।
ব্যাংক বন্ধের দিন হলেও শুক্রবার দুপুরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান আবদুর রউফ তালুকদার।


http://dlvr.it/TBktPz

Post a Comment

0 Comments