বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার প্রেক্ষাপটে অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো এই বিক্ষোভ চলছে। এর ফলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের উল্লেখ করে এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইউএনবি জানায়, শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
শুক্রবার শাহবাগে সমাবেশের পরে আজকের বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধি বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান তারা। মূল দাবি ছিল সংসদীয় আসনের ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে বরাদ্দ করা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় ২০৫টি সহিংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদ।
খোলা চিঠিতে ড. ইউনূসকে একটি নতুন যুগের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ছাত্র ও গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তবে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কিছু গোষ্ঠীর সহিংস কর্মকাণ্ডে গভীর দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, যা এই অর্জনকে কলঙ্কিত করেছে।
http://dlvr.it/TBlTCC
0 Comments