লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ তাদের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেছে। ইসরায়েলের হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হলেন নাইম কাসেম।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুরা কাউন্সিলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করা হলো। সূত্র: আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, নাইম কাসেম ডেপুটি লিডারের পদ থেকে হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন হাসান নাসরাল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সেপ্টেম্বরে বিমান হামলা চালিয়ে লেবাননের বৈরুতে হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহ প্রধানের পদটি খালি হয়ে যায়। সে সময় থেকে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন হিজবুল্লাহর নবনির্বাচিত এই প্রধান।
লেবাননে উপর্যুপরি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আগ্রাসী রাষ্ট্রটি হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের নেতাকে টার্গেট করেছে। তাদের মধ্যে ছিলেন নাসরাল্লাহর আপন চাচাতো ভাই এবং সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিউদ্দিন। তিনিও ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন। হত্যার বেশ কয়েকদিন পর সাফিউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সেনারা।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লক্ষ্য অর্জনে তাদের মৌলিক বিধিমালা অনুযায়ী নাইম কাসেমকে হিজবুল্লাহর প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সংগঠনটি মনে করে মানবকল্যাণের লক্ষ্য অর্জনে তাদের কাজে মহান আল্লাহই নতুন এই প্রধানের অভিভাবক।
নাইম কাসেম লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। লেবাননে শিয়া আমাল আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হয় তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা। তিনি ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে দলটি ত্যাগ করেন, যা অনেক তরুণ লেবাননের শিয়া কর্মীদের রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনাকে বদলে দেয়। পরে ১৯৮২ সালে লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডদের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত হিজবুল্লাহ গঠনের দিকে পরিচালিত সভায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
হিজবুল্লাহর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাইম কাসেম। ইসলামিক রিলিজিয়াস এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া মুস্তাফা স্কুলের পরামর্শদাতা হিসেবেও রয়েছেন হিজবুল্লাহর নতুন এই প্রধান। ১৯৯১ সালে তিনি হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারির দায়িত্বে আসেন।
http://dlvr.it/TFrX5H
0 Comments