দেশের পোশাক শিল্প চ্যালেঞ্জিং সময় পেরিয়ে সফলভাবে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত ক্রেতাদের আস্থা ফিরে পাচ্ছে।
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পোশাক শিল্প মালিকদের এই সংগঠনের সভাপতি বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে বিজিএমইএ বোর্ড প্রতিকূল পরিস্থিতি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। পোশাক শিল্পসমৃদ্ধ এলাকায় নিয়মিত টহল দেয়া হচ্ছে। সামরিক বাহিনীর সহায়তায় বিজিএমইএ কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছে।
পোশাক কারখানার আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম জানান, বিজিএমই নেতারা অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে না পারলেও অনেক কারখানা এখনও ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দিতে পারছে না। এসব কারখানার বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ।
এ ছাড়া পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিকের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ গত ১৬ অক্টোবর এই উদ্যোগের উদ্বোধন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিজিএমইএর অনুরোধে সাড়া দিয়ে পোশাক কারখানার ইস্পাত কাঠামোর জন্য অগ্নি প্রতিরোধক রেটিংয়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে।
http://dlvr.it/TFVykL
0 Comments