Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কবর থেকে তোলা হলো হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ

বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু-রহস্যের জট খুলতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তার মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী। বাবার মরদেহের পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ টেস্ট, মৃত্যু সনদসহ যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফনের আবেদন করে রিট করেছেন তিনি। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই কবর থেকে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থান থেকে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ সংগ্রহ করা হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এর আগে ৮ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে সংগ্রহ করার জন্য এসএম রাসেল ইসলাম নুরকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনে তিনি তার পিতা হারিছ চৌধুরীকে জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে মাহামুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা, মৃত্যু সনদ, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে নাম মুছে ফেলা এবং নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফনের জন্য আবেদন করেন তার মেয়ে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নুর বলেন, কবর থেকে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ উত্তোলনের জন্য আদালত আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করেছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকালে মাহামুদুর রহমান পরিচয়ে দাফন করা একটি কবর থেকে দেহাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে৷
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আদালতের নির্দেশনা পালন করেছি।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রাদুর্ভাবের সময়ে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হয়। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর রিট আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী।


http://dlvr.it/TFPQvY

Post a Comment

0 Comments