Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের বিকল্প নেই: আমীর খসরু

বিএনপির বর্ষীয়াণ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন প্রধান ইস্যু। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বার বার ক্ষমতা দখল করায় কখনও ভোটের প্রয়োজন হয়নি বলেই শেখ হাসিনার মতো দানব সৃষ্টি হয়েছে।
শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, আইনের শাসনকে কলঙ্কিত করেছেন।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অবশ্যই এই ঐক্য বজায় রাখতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন চিন্তা ও প্রত্যাশার মাধ্যমে মানুষের মানসিকতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। ঐক্য বজায় রেখে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে।
রাজনীতিবিদরা যদি দেশের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে এবং মানসিকতার পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির মতো মৌলিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ থাকা উচিত নয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য তাদের অবশ্যই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনি সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান।
শেখ হাসিনা দেশের প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছেন। এগুলো অবশ্যই সংস্কার করতে হবে, উল্লেখ করেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ছয় বছর আগে ভিশন-২০৩০ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রথম সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করে। পরে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে মিলে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এগুলো শুধু বিএনপির প্রস্তাব নয়, আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য দলকে নিয়ে এগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কার আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো মতপার্থক্য নেই বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, এটি একটি সহজ কাজ। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আপনাদের (সরকার) শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। অবশিষ্ট মৌলিক সংস্কার জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।


http://dlvr.it/TFldmc

Post a Comment

0 Comments