Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে আদানি পাওয়ার

বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব হওয়ার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের কোম্পানি আদানি পাওয়ার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া থাকায় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার।
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খণ্ড রাজ্যে আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্লান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দুটি প্লান্ট থেকে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে তা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের উপাত্ত এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার আরও এক ধাপ কমিয়ে তা ৫২০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি এবং কেউ সরবরাহ বন্ধ করলে বিকল্প ব্যবস্থা নেব। কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে কোম্পানিটির সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদে একটি চুক্তি করে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর একেকটির উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট।
শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতেই ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে আদানি গ্রুপ। গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে আদানি পাওয়ার।
কিন্তু বকেয়া জমে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে সরবরাহ ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা। আর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আদানির কেন্দ্র থেকে।
বাংলাদেশ বকেয়া পরিশোধ ত্বরান্বিত করেছে বলে জানিয়েছেন বিপিডিবির কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আদানি পাওয়ার ৭ নভেম্বর বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা প্রত্যাহার করার পরও তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস করেছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার ব্যাপারে জানতে আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে গ্রুপের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো জবাব দেয়া হয়নি। তবে আদানির একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং একইসঙ্গে বকেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, আদানি পাওয়ারকে আরও ১৭০ মিলিয়ন ডলার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে ঋণপত্র খুলেছে পিডিবি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর কয়লার দাম বেড়ে গেলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।


http://dlvr.it/TG5GRg

Post a Comment

0 Comments