সংবিধানের নানা অসঙ্গতি পরিবর্তনের প্রয়োজন থাকলেও এর মৌলিক কাঠামো বদলানোর সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার দুপুরে কেমন সংবিধান চাই শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বদিউল বলেন, বর্তমান সংবিধানে বহু অসঙ্গতি রয়েছে, যা পরিবর্তন করতে হবে। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসবেধারণাটা ভুল। এ ক্ষেত্রে সংসদের ভূমিকা লাগবে। সংবিধান শুধু আইনজ্ঞদের বিষয় নয়, এটি সবার।
তিনি বলেন, সংবিধানকে নানান সংশোধনীর মাধ্যমে নষ্ট করা হয়েছে। বিশেষ করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ পরিবর্তন করে সংবিধান কলুষিত করা হয়েছে।
সংরক্ষিত আসন নিয়ে সুজন সম্পাদক বলেন, এখানে নারীকে প্রতীকী অবস্থায় নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে নারীকে অবমূল্যায়ন করা হয়। তাই সংস্কার প্রয়োজন।
সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীকে ক্ষমতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪০০ আসন হলে ১০০টি নারীর জন্য বরাদ্দ করতে হবে। তাও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে।
সভায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, বিগত সময়গুলোতে রাজনৈতিক সংকটে এই সংবিধান সমাধান করতে পারেনি; বরং সংকট বাড়িয়েছে।
ওই সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংশোধন করতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংশোধন করতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তবে সংবিধান নিয়ে আসা প্রস্তাবগুলো বিপ্লবী ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, সংবিধান সংশোধন ও সংস্কারের মাধ্যমে পাঁচ বছর পর পর যদি ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা যায়, তবেই এ প্রচেষ্টা সফল হবে।
http://dlvr.it/TGCmWZ
0 Comments