Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

১৯ বছরে তুরস্কে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের নেয়া অপ্রচলিত কিছু সিদ্ধান্ত দেশটির অর্থনীতিতে অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বাতিল করার পরই লিরার দামে অস্থিরতা শুরু হয়। এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির বার্ষিক মূল্যস্ফীতি সর্বশেষ ডিসেম্বরে ৩৬.০৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। গত ১৯ বছরে এটিই সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির হার। তুরস্কের অর্থনীতির এই অস্থিরতা ফুটে উঠেছে খোদ সরকারি প্রতিবেদনে। দেশটির পরিসংখ্যানবিষয়ক প্রতিষ্ঠান (তার্কিশ স্ট্যাটসটিক্যাল ইনস্টিটিউট) বলেছে, নভেম্বর মাসের হিসাবেই ডিসেম্বরে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৩.৫৮ শতাংশ। শেষ বছরে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৪৩.৮ শতাংশ। এ ধরনের উচ্চ মূল্যস্ফীতি এক ধরনের সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করছে দেশটিতে। মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য করতে পারছে না। অন্যদিকে জমানো টাকা নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়। দেশটির জনগণ তাদের জমানো অর্থ রক্ষা করতে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণ কিনছে। যদিও সরকার অনেক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের। সরকারের ওপর আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা এক সংখ্যায় নিয়ে আসার। তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি যেই কারণেই হয়ে থাকুক না কেন, যে ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের নাগরিকরা পড়েছে, তাতে আমরা অনুতপ্ত। শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর চাপ প্রয়োগই নয়, তুরস্কের সরকারের নেয়া কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও দেশটির অর্থনীতিতে চাপ প্রয়োগ করতে পারে। সর্বশেষ ২০০২ সালেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মধ্যেই ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছিল। এরদোয়ান ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আবার এ ধরনের অস্থিরতা তৈরি হলো।
http://dlvr.it/SGTfk1

Post a Comment

0 Comments