ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ব্যাংকের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড প্রতারণা ও জালিয়াতি চক্রের ৫ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিন তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার ভোরে ভাঙ্গার আজিমনগর এলাকায় ঢাকার এটিইউ ও ফরিদপুর জেলা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার পাতরাইল বাগবাড়ী দিঘিরপাড় এলাকার সাকিল মাতুব্বর ওরফে শাকিব ও শরিফুল মৃধা, পাশের পাতরাইল দিঘিরপাড় এলাকার শাওন শেখ, মধ্য পাতরাইল কবিরাজ বাড়ী এলাকার রাকিব কবিরাজ ও পাতরাইল উথলী তালুকদার বাড়ি এলাকার জাকির হোসেন তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলনে এটিইউর পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, প্রতারক চক্রটি শুরুতে বিভিন্ন সরকারি ভাতা, অনুদান ও শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা, মোবাইল নম্বরসহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে। এরপর সরকারি ভাতা, অনুদান ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকারী দপ্তরের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে তালিকায় থাকা ব্যক্তিদেরকে তাদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে।
প্রতারকরা টার্গেট ব্যক্তিকে তার নাম, জন্মতারিখ ইত্যাদি তথ্য দিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে এবং জানায় যে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে সময় বেশি লাগবে, তবে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড যদি থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ টাকা পাঠানো যাবে।
ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ফলে ভুক্তভোগী প্রতারকের ফাঁদে পড়ে প্রতারকদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নম্বর এবং ওটিপিসহ সব গোপন তথ্য দিয়ে দেন। পরবর্তীতে প্রতারকরা খুব সহজেই কার্ড থেকে টাকা Qpay Bangladesh নামের মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশ বা নগদে নিয়ে নেয়। এভাবেই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম, এটিইউর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহানশাহসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
http://dlvr.it/SwHH4p
0 Comments