জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই বিভাগের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমদ জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকারকে। অপর তিন সদস্য হলেন- অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. নীলোৎপল সরকার, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা ও সহকারী প্রক্টর ড. মোহাম্মদ রেজাউল হোসাইন।
এর আগে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসী তার নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে এক বছর প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে জানিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন তিনি। গত বুধবার শিক্ষকের নিজ কক্ষে ওই নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় দরজা বন্ধ অবস্থায় লক্ষ্য করা হয়।
বিষয়টি বিভাগের অন্য শিক্ষকদের নজরে আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর ওই নারী শিক্ষার্থী শিক্ষককে বিয়ে করতে বললে তিনি আপত্তি জানান। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে গণিত বিভাগের অ্যাকাডেমিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গত সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষকের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সঙ্গে বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট লিখিত আবেদন দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শরিফুল আলম বলেন, বিষয়টি বিভাগের অ্যাকাডেমিক সভায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে বিভাগের সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
http://dlvr.it/Svk0ZH
0 Comments