Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ডাচ-বাংলা বুথে চুরি: আরও দুজন গ্রেপ্তার, উদ্ধার ১৮ লাখ

সিলেটে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হলো তিনজন।
দুইজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার আলাদা অভিযানে ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন মোগলাবাজার থানার নৈখাই পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল হক ও নুরুল ইসলাম মুন্না। আমিনুল হককে ঢাকার মতিঝিল থানার সাজেদা টাওয়ারের সিকিউরেক্স কোম্পানির অফিস থেকে ও নুরুলকে ভৈরব থানার উজানভাটি হোটেলের সামনে থেকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার নগরের শিবগঞ্জ এলাকা থেকে আলবাব হোসেন লিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলবাবের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে লিমন ও আমিনুল বুথে টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্সের কর্মকর্তা।

সিলেটে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় শুক্রবার নগরের বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়।
বুথে টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্স প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিলেট জোনের এটিএম অফিসার সন্দীপন দাস এ মামলাটি করেন।
মামলায় সিকিউরেক্স কোম্পানির দুই কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ অক্টোবর নগরের সুবিদবাজারের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে ২৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা করা হয়, কিন্তু ক্যাশজ্যাম জনিত সমস্যার কারণে তখন টাকা জমা হয়নি। এরপর ৩০ অক্টোবর বুথে গিয়ে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার গরমিল পাওয়া যায়।
পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৫ থেকে সোয়া ১২টার মধ্যে মাথায় কালো ক্যাপ, মুখে মাস্ক পরে দুই থেকে তিনজন জন ব্যক্তি ব্যাংকের বুথের ভল্ট খুলে টাকা নিয়ে যায়।
বুথের আশপাশে নিরাপত্তা প্রহরী উপস্থিত ছিলেন না। বুথের ভেতরে প্রবেশ করা দুজনের মধ্যে একজন বুথের নিচের দিকের অংশ খুলেন ও অন্যজন তার পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই সময় নিরাপত্তা প্রহরীকে বুথের সামনে উপস্থিত হতে দেখা যায়। ভেতরে থাকা এক ব্যক্তি নিরাপত্তা প্রহরীকে শাটার নামানোর জন্য ইশারা করতে দেখা যায়। পরে নিরাপত্তা প্রহরী শাটার নামিয়ে দেন। একপর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তি বুথের লকার খোলে ভল্ট নামিয়ে যায়। সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ব্যাগে ভরে চলে যান।
মামলার এজাহারে সন্দীপন দাস উল্লেখ করেছিলেন, অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজন বিবাদীর মধ্যে কোম্পানির এটিএম অফিসার আলবাব হোসেন ও আমিনুল হক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ তার।


http://dlvr.it/SyPhqr

Post a Comment

0 Comments