রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রায় চার মাস ধরে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সোমবার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউ-তে নেয়ার পর দুই ঘণ্টার বেশি সময় চিকিৎসা শেষে তাকে আবার কেবিনে নেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন রাতে মিডিয়াকে এ তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক কিছু জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে আজ (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে কেবিন থেকে জরুরিভিত্তিতে সিসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। জটিলতা নিয়ন্ত্রণ করে রাত সাড়ে ৭টার কিছু পর পুনরায় তাকে কেবিনে নেয়া হয়েছে।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৭ অক্টোবর খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরদিন বিদেশি চিকিৎসকরা চলে গেলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকেই তারা ঢাকায় খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিএনপি কয়েক দফা রাজপথে আন্দোলনও করেছে।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
http://dlvr.it/T00Lmy
0 Comments