Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়

হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস, মেঘের ফাঁকে সূর্যের লুকোচুরি আর সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশা।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এমন পরিবেশ বিরাজ করছে দেশের শেষ প্রান্তের জেলা পঞ্চগড়ে। হিমালয়ের অবস্থান খুব কাছাকাছি হওয়ার কারণে প্রতি বছর ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে এমন পরিবেশ থাকে এই জেলায়।
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রির ঘরে বিরাজ করছে সাত দিন ধরে। জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে শুক্রবার সকালে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালেও সেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এসব তথ্য জানান।
দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও বিকেল থেকেই ঠান্ডা পড়তে শুরু করে। দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে এ জেলায়। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এলাকার শ্রমজীবী মানুষদের। পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলের পর হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায় অনেক, তবে সকাল ১০টা থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।
সদর উপজেলার হাফিজাবাদ এলাকার অটোরিকশা চালক বলেন, কাজ কমে যাওয়ায় একদিকে সাপ্তাহিক কিস্তি আরেক দিকে সংসারের ব্যয়। ফলে আমাদের অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে।
একই কথা বলেন পাথর উত্তোলন শ্রমিক হাসিবুল করিম।
তিনি জানান, নদীতে ডুবে পাথর কুড়িয়ে সংসার চলে তার। গত কয়েক দিন ধরে শীতের কারণে নদীর পানিও অনেক ঠান্ডা। ঠিক মতো কাজ করতে না পারায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এ সব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।


http://dlvr.it/T0Sjb0

Post a Comment

0 Comments