আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়-৫ নবীনগর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের নগদ টাকার পরিমান স্ত্রীর নগদ টাকার চেয়ে ১০০ গুণেরও কম। তবে ব্যাংকে জামানতের পরিমানে স্ত্রীর চেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। শেষ পাঁচ বছরে সাঈদের আয়ের পরিমান কমলেও, বেড়েছে মামলার সংখ্যা।
নির্বাচনের হলফনামায় সাঈদ ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পেশ করা বিবরণ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সাঈদের সম্পদর বিবরণী বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বর্তমানে তার নগদ টাকার পরিমান ১৭ হাজার ৭৮০ টাকা, স্ত্রীর নগদ অর্থ ২০ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৩৯ টাকা। নিজের নামে ৬০ ভরি, স্ত্রীর রয়েছে ৫০ ভরি। এ ছাড়া সাঈদের প্রাইজ বন্ড পরিমান আছে বিগত পাঁচ বছরের মতোই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা সম্পদ বিবরনী থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে মমিনুল হক সাঈদের নগদ টাকা ছিলো ১২ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৯৭ টাকা, স্ত্রীর নগদ কিছুই ছিলোনা। সেসময় নিজের নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার খাত শূন্য ছিল তার। কিন্তু বর্তমানে ব্যাংক জমার পরিমান ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯২ টাকা।
২০১৮ সালে সাঈদের হলফানামায় উল্লেখ থাকা তার ও স্ত্রীর কৃষি-অকৃষি জমি, দালান বা বাড়ি বর্তমান হলফনামায় উল্লেখ নেই।
রাজধানীতে ২০১৯ সালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চালানো ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় আলোচনায় আসেন মমিনুল হক সাঈদের নাম। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা।
২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালু করেছিলেন সাঈদ। র্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় গোপনে দেশ ছাড়েন তিনি।
এরপর থেকেই তিনি ক্যাসিনো সাঈদ নামে পরিচিত। পরবর্তীতে অভিযান থেমে গেলে দেশে ফিরেন সাঈদ।
মমিনুল হক সাঈদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে। এবার এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ফয়জুর রহমান বাদল
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহগীর আলম বলেন, সব প্রার্থীই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা জমা দিয়েছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে সেগুলো যাচাই-বাছাই করেছি, তবে কারও ব্যাপারে কোনো আপত্তি আসলে তা আবার যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।
http://dlvr.it/SzxHS0
0 Comments