Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বাবার নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেয়ায় রাবির অধ্যাপককে শোকজ

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে খুলনা-৫ আসনের (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) নৌকার প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ছেলে বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দকে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান ও খুলনার সিনিয়র সহকারী জজ রত্না সাহা শনিবার দুপুরে তাকে শোকজ করেন।
বিশ্বজিৎকে চেয়ারম্যানের দপ্তরে রোববার দুপুর ১২টায় কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে বা নিজে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।
বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য। সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বে রাজনৈতিক প্রচারে অংশ নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। কেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর সুপারিশ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।
সদর আদালতের পেশকার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দুই দিন আগে খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বিশ্বজিৎ চন্দ্রের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগে সরকারি সুবিধা ভোগ করা ব্যক্তির কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়ার কথা বলা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা সেটি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ বলেন, যে দুটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি সে দুটিই স্বায়ত্তশাসিত। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের রাজনীতি করার অনুমোদন আছে। সে ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হবে না। অনুসন্ধান কমিটি ব্যাখ্যা চেয়েছে, আমার প্রতিনিধি গিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে আসবে।
এই আসনে নির্বাচনে লড়ছেন চারজন প্রার্থী, তবে মূল প্রতিযোগিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সঙ্গে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেনের সঙ্গে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নৌকা প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের হুমকি দেয়ার অভিযোগে শেখ আকরাম হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। তিনি সশরীরে হাজির হয়ে নোটিশের জবাব দেয়ার পর তাকে সতর্ক করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেন ফুলতলা উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ওই উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।


http://dlvr.it/T0ndBF

Post a Comment

0 Comments