Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

‘অসভ্যতার শেষ হোক’ বলা ফারুকী দিলেন ‘সাজেশন’

দেশে নতুন বছর উদযাপনের রাতে (থার্টি ফার্স্ট নাইট) বিগত বছরগুলোর মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আহ্বান উপেক্ষা করে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আতশবাজি ফুটিয়েছেন অনেকে। এতে মধ্যরাতে ঘুমের মধ্যে আঁতকে উঠতে হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে। তাদের একজন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
২০২৪ শুরুর আগের রাত রোববার পৌনে দুইটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফারুকী। এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, নতুন বছর শুরু করতে হচ্ছে অভিশাপ দিয়ে। ঘুমন্ত সন্তান যখন কেঁপে কেঁপে ওঠে, তখন পিতা কেবল অভিশাপই দিতে পারে।
কারও আনন্দের বিনাশ আমি কখনোই চাই না, কিন্তু আজকে বলতে বাধ্য হচ্ছি: তোদের অসভ্যতার শেষ হোক, শেষ হোক, শেষ হোক! সংযুক্তি: এখন বাজে রাত দুইটা।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর কারণে সারা দেশে তিনটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
বাহিনীটির মিডিয়া সেল সোমবার জানায়, কেরানীগঞ্জ জিনজিরাতে একটি, রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি ও জামালপুর সদরের শহিদ হারুন সড়কে একটি আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি দোকান ও একটি বাসাবাড়ি পুড়ে যায়, তবে এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত পাঁচ বছরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় আতশবাজি ও ফানুসের কারণে ২৮০টি আগুন ধরে বলে রোববার জানায় ফায়ার সার্ভিস। এমন বাস্তবতায় থার্টি ফার্স্ট নাইট যৌক্তিকভাবে উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বছরের প্রথম দিন সোমবার বেলা ১১টা ৪৯ মিনিটে দেয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ওকে, আই হ্যাভ অ্যা সাজেশন। উৎসব যেহেতু থাকবে, আবার এই শহরে ছোট শিশু, বয়স্ক মানুষ, রোগী, পশু-পাখিদেরও থাকতে হবে। তাহলে একটা উপায় বের করা যায়?
পুরা শহরটাকে যুদ্ধক্ষেত্র না বানায়ে শহরের তিনটা জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া যায়? যেখানে উৎসব করার জন্য মানুষ জড়ো হবে। আমাদের এখানে তো আর সিডনি হারবার ব্রিজের মতো কোনো জায়গা নাই। আমাদের সব জায়গাই তো আবাসিক। সেই জন্য জায়গার পাশাপাশি সময়টাও বেঁধে দেয়া দরকার!
তিনি আরও লিখেন, উচ্চ শব্দ হয় এমন কোনো কিছু করলে এই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে করতে হবে। তাতে করে নির্দিষ্ট করে দেয়া জায়গাগুলার আশেপাশের ভবনের মানুষেরা জানবে কোন সময়টাতে এ রকম শব্দ হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী একটা প্রস্তুতি রাখতে পারে। কালকে রাতে যেমন দুইটার পরেও চলছে এই বীভৎস তান্ডব!
শেষ করতে চাই একটা কথা বলে, আমি আনন্দ-উৎসবের বিরুদ্ধে না, কিন্তু ভাইয়েরা একটা কথা বলি। আমরা যখন কোনো ছাদে দাঁড়াই, আমরা কিন্তু সেখান থেকে একটা আস্ত ইট নিয়ে বাইরের দিকে ছুড়ে মারি না! কারণ আমরা চিন্তা করি নিচে দিয়ে হেঁটে যাওয়া কারও না কারও মাথায় এটা পড়তে পারে, একটা অ্যাকসিডেন্ট হতে পারে। এই যে আমরা এটা ভাবি, এটাই সভ্য মানুষের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। আমার কোনো কাজে অন্যের ক্ষতি হতে পারে কি না, এইটা ভাবা মানুষের বেসিক জিনিস হওয়া উচিত। সবার নতুন বছর আনন্দের হোক, এমনকি যারা কালকে আমার মেয়েকে আতঙ্কের ওপর রাখছিলেন, তাঁদেরও!
স্ট্যাটাসের শেষের দিকে ফারুকী বলেন, বি. দ্র. একজন লিখছেন আমি নাকি সারা জীবন এটাকে সমর্থন দিয়ে এই প্রথম এটার বিরুদ্ধে লিখলাম। আমি জানি না উনি কোথায় পাইলেন যে অন্যের আতঙ্ক সৃষ্টি করারে আমি সমর্থন করছি। সোশ্যাল মিডিয়া মনগড়া কথা লিখার আখড়া!
উনি বোধ হয় আমার কাজকর্মের খবরও রাখেন না। আমি যে সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফির মতো একটা সিনেমা বানাইছি এটা নিয়া সেটাও হয়তো উনি জানেন না। হায় সেলুকাস!


http://dlvr.it/T0qZ3m

Post a Comment

0 Comments