ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোতে শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) স্থানীয় সময় সোমবার এ কথা জানিয়েছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সংস্থা প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেন, আল আওদা ও কামাল আদওয়ান হাসপাতালে সপ্তাহান্তে সংস্থা প্রথমবারের বারের মতো পরিদর্শনে গেছে। যদিও গত অক্টোবরের প্রথম থেকেই উত্তর গাজায় ঢোকার নিয়মিত প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।
এক্সে তিনি বলেন, আল আওদা হাসপাতালের চিত্র ভয়াবহ। এর একটি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে কামাল আদওয়ান হাসপাতাল সেখানকার একমাত্র শিশু হাসপাতাল। এটি রোগীতে পরিপূর্ণ। খাদ্য সংকটে ১০ শিশু মারা গেছে।
গেব্রিয়াসিস বলেন, বিদ্যুতের অভাবে এই দুই হাসপাতালে সেবাদানে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। ইনটেনসিভ ও নবজাতক ইউনিটের মতো জটিল ইউনিটগুলোতে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে।
তিনি নিরাপদ ও নিয়মিত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ত্রাণ বঞ্চিত উত্তর গাজায় অপুষ্টিতে অন্তত ১৬ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইল হামাস যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ অনিবার্য হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দেশটি।
এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। তবে আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।
হামলার সময় প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ইসরায়েল বলছে, গাজায় এখনো অনেক জিম্মি রয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েল নির্বিচারে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে গাজায় ৩০ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।
http://dlvr.it/T3cxwR
0 Comments