পাবনায় স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এর আগে আমিনপুরের সাগরকান্দির চর কেষ্টুপুরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন- চর কেষ্টপুরের গ্রামের ২৪ বছর বয়সী মো. শরীফুল, ২১ বছর বয়সী রাজীব সরদার, ২০ বছর বয়সী লালন সরদার ও ২৩ বছর বয়সী সিরাজুল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিনপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদ্দুস বলেন, আসামিরা আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতের মাধ্যমে কাগজপত্র পাইনি, পেলে তাদের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হবে।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে শুনেছি। আমি আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। আমরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
মাঝেমধ্যে কিছু অচেনা লোকজন গ্রামে এসে আমার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে যাচ্ছে। নানা কথাবার্তা ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে চর কেষ্টপুর গ্রামে কাদেরিয়া তরিক্বাপন্থিদের একটি ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়। মাহফিলের ডেকোরেশনের কাজ করছিলেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। টাকার প্রয়োজনে ওই রাতে স্বামীর কাছে যান তিনি।
সেখানে ওয়াজ শুনে রাত ১২টার দিকে পাশে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে পথরোধ করেন অভিযুক্ত ৬ যুবক। তারা ভুক্তভোগীকে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে সময়ক্ষেপণ করেন। এক পর্যায়ে তার স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে জোরপূর্বক ভুট্টাখেতে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তদের দুজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এক পর্যায়ে ওই নারীর স্বামী তাদের কাছ থেকে ছুটে এসে স্থানীয়দের জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের একজনকে আটক করে গণধোলাই দেন এবং বাকিরা পালিয়ে যান। ওই সময় ভুক্তভোগীকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার একদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ৬ জনের নামে মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এ ঘটনার ১৩ দিনেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ১৪ দিনের মাথায় বৃস্পতিবার আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এ মামলার দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
http://dlvr.it/T3lZtm
0 Comments