Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালেই দেশ স্বাধীনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালেই দেশ স্বাধীনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানিরা বাঙালির মাতৃভাষার অধিকার হরণের পদক্ষেপ নেয়ার পরই বঙ্গবন্ধু এমন সিদ্ধান্ত নেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু-কন্যা এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে জিজ্ঞোসা করা হয়েছিলো- দেশের স্বাধীনতার কথা আপনি কখন থেকে চিন্তা করেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে যখন মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পাকিস্তানিরা কেড়ে নিয়েছিল, সেদিন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওদের সাথে আর থাকব না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই কিন্তু স্বাধীনতা। একজন নেতা হিসেবে নিজের জীবনের সব বিসর্জন দিয়ে একটি জাতির জন্য তিনি দিনের পর দিন অধিকার বঞ্চিত-শোষিত মানুষের কথা বলতে গিয়ে বার বার কারাবরণ করেছেন। জেল-জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছেন। যে লক্ষ্য তিনি স্থির করেছিলেন, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে একটার পর একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু চুয়ান্ন সালে নির্বাচনও করেছেন। ছাপ্পান্ন সালে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। একটি লক্ষ্য স্থির রেখে নিয়ম মেনেই তিনি এগিয়ে গেছেন। যেটা কখনও তিনি মুখে উচ্চারণ করেননি।
একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা বা তাদেরকে সংগঠিত করা, ঐক্যবদ্ধ করা এটা একটি কঠিন কাজ ছিলো। সেই কঠিন কাজ তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটাই আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। যে কাজটা তিনি করতে গেলেও করতে দেয়া হয়নি। ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই ভাষণই মানুষকে প্রেরণা দিয়েছে। এই ভাষণের প্রতিটি কথা, প্রতিটি লাইনই হচ্ছে একটা কোটেশন। সেই ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি একটা যুদ্ধের রূপরেখা দিয়ে যান। বাঙালি স্লোগান দিতে দিতে হাতে লাঠি, কেউ বৈঠা নিয়ে এসেছিল। সবাই প্রেরণা নিয়ে চলে যায় যার যার এলাকায়। ৭ মার্চের ভাষণ এখন ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক প্রামাণিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা ৭ মার্চে এই ভাষণটা বাজিয়েছে, ২৬ মার্চ বাজিয়েছে, ১৫ আগস্ট বাজিয়েছে।
এই ভাষণ বাজাতে গিয়ে নিজে জেল খেটেছে, এমনকি অনেকে জীবন পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু থেমে যায়নি। যতই তারা নিষিদ্ধ করুক, সেটা কিন্তু তারা নিষিদ্ধ করতে পারেনি। মানুষের হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছিল। ৭ মার্চের দিবসটি আমরা পালন করছি এই কারণে যে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা জয়বাংলা স্লোগানে বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণকে যারা প্রেরণা বলে মনে করে না, তার অর্থ তারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায় না। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। দেশের মানুষের অর্থ-সামাজিক উন্নতি চায় না।
তাদেরকে কেন মানুষ ভোট দেবে। সে জন্যই তারা নির্বাচন বানচাল করতে বার বার অগ্নি-সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়।
বিএনপি ও জামায়াতকে বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।


http://dlvr.it/T3lM1h

Post a Comment

0 Comments