Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পাচারের আগ মুহূর্তে উদ্ধার দুই তরুণী, আটক ৬

যাত্রাপালায় গানবাজনা ও অভিনয়ের সুযোগ দেয়ার কথা বলে নিয়ে আসা অপ্রাপ্তবয়ষ্ক দুই তরুণীকে। পরে তাদের সঙ্গে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করে ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয় দিনের পর দিন।
সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য ছিল পতিতাবৃত্তি করানোর জন্য ওই তরুণীদের ভারতে পাচার করবে। তার ঠিক আগ মুহূর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে পাচারকারী দলের সদস্য তিন নারীসহ ছয়জনকে।
বুধবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এর আগে মঙ্গলবার রাতে খুলনার লবণচরা থানাধীন আদিলুর রহমান সড়ক দ্বিতীয় লেনের একটি ভবনের নিচতলা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
আটক নারী পাচারকারীরা হলেন- মিল্টন মণ্ডল, সাইফুল ইসলাম, হিমেল, খাদিজা বেগম, রত্না আক্তার ওরফে পায়েল ও রাবেয়া বেগম। এদের মধ্যে মিল্টন মণ্ডল মানব পাচার চক্রের হোতা।
মিল্টন যাত্রাপালায় অভিনয়ের আড়ালে উঠতি বয়সী তরুণীদের টার্গেট করে ভিন দেশে পাচার করেন। সে সঙ্গে মাদকের কারবারেও জড়িত তিনি। আর আটক সাইফুল ইসলাম ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নাগরিক। ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম সেখর। সে তরুণীদেরকে পাচারের জন্য ভারতে নিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীর বয়স ১৪ ও ১৫ বছর। উভয়ের বাড়িই খুলনায়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান এই দু্ই কিশোরীকে কাজ দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিল পাচারকারীরা।
কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, দুই মাস আগে প্রলোভন দেখিয়ে দুই তরুণীকে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের নগ্ন ছবি ধারণ করে জোরপূর্বক আটক রেখে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করে পাচারকারীরা। তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত না হলে, নগ্ন ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয়।
তিনি জানান, এছাড়াও চক্রটি রাতের বেলায় ডিজে পার্টির আয়োজন করতো। সেখানে আগতদের মনোরঞ্জনের জন্য রঙিন আলোয় নাচ-গানের ব্যবস্থা করা হতো। আর ভয় দেখিয়ে ও ফাঁদে ফেলে ওই দুই তরুণীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানো হচ্ছিল।
ইতোমধ্যে ওই তরুণীকে ভারতে বিক্রি করে দেয়ার জন্য দরদাম পাতাপোক্ত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে ভারতে পাচারের জন্য দালালের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল।
কমিশনার বলেন, মঙ্গলবার রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের হ্যালো কেএমপি অ্যাপসের ইনবক্সে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির গোপন সংবাদ আসে। তার ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। অভিযানকালে সেখানে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ সেক্স টয় টাইপের বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
আটকদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। তারা বর্তমানে লবণচরা থানা হাজতে আছে। যথানিয়মে রিমান্ডের আবেদনসহ তাদের আদালতে পাঠানো হবে।


http://dlvr.it/T3hwGL

Post a Comment

0 Comments