Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

উল্কা গেমস মুনফ্রগ ল্যাবসের জব্দ ৮০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত চেয়ে রিট

অনলাইন জুয়া পরিচালনার দায়ে উল্কা গেমস ও মুনফ্রগ ল্যাবসের কাছ থেকে জব্দ হওয়া ৮০ কোটি টাকা কেন বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
জনস্বার্থে বুধবার দৈনিক দেশের ডাক পত্রিকার সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে আইনজীবী ড. মো. ইউনুস আলী আকন্দের মাধ্যমে হাইকোর্টে এ আবেদন করেন।
রিটে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জব্দ টাকা জমা থাকা চারটি ব্যাংক ও জুয়া পরিচালনাকারী কোম্পানি উল্কা গেমস, মুনফ্রগ ও স্টিলফ্রন্টকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে দৈনিক প্রথম আলো, যুগান্তর, ঢাকাওয়াচ টোয়েন্টিফোর ডটকম, দৈনিক দেশের ডাক, শেয়ারবিজ, দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন নজরে আনা হয়েছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জুয়া অবৈধ ও নিষিদ্ধ। জুয়াড়িরা এতগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ফাঁকি দিয়ে কীভাবে কোম্পানী হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পেল এবং বছরের পর বছর জুয়া কার্যক্রম ও শত শত কোটি টাকা পাচার করল, এটা বিস্ময়কর।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই জুয়াড়িরা সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে জব্দ হওয়া ৮০ কোটি টাকা ফেরত নিতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, জুয়াড়িদের জব্দ হওয়া টাকা তারা কোনোভাবেই ফিরে পেতে পারে না। জব্দ টাকা ফেরত দেয়া হলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে জুয়া কার্যক্রম পরিচালনা করবে। দেশের অর্থপাচার ঠেকাতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় জব্দ ৮০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। এতে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে এবং ভবিষ্যতে জুয়া কার্যক্রম নিরুৎসাহিত হবে।
উল্কা গেমসের সিইও এবং মুনফ্রগ ও স্টিলফ্রন্টের ম্যানেজিং এজেন্ট জামিলুর রশীদ ছয় সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর। এরপর তার গেমস ডেভলপমেন্টের নামে অবৈধ জুয়া পরিচালনা করে হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য উঠে আসে। সে সময় উল্কার চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮০ কোটি টাকার বেশি জব্দ হয়। সেই মামলায় জামিনে বের হয়ে জব্দ টাকা ছাড়াতে নিজেদের মধ্যে বিবাদের নাটক সাজিয়ে জুয়াড়ি চক্র তৎপর হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ব্র্যাক ব্যাংকের কাছে টাকা হস্তান্তরের একটি আদেশ গেলে তারা এনবিআরের পাওনার বিষয়টি আদালতকে জানায়। পরে বিষয়টি এনবিআরের নজরে এলে তারা করের টাকা আদায়ের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকে যায়। সেখানে ১৩ ঘণ্টা দেনদরবার চলে, তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া ব্র্যাক ব্যাংক এনবিআরকেও টাকা দেয়নি।
পরে এ বিষয়ে শুনানি শেষে ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিত এবং এনবিআরকে নির্দেশনা মেনে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে অফিস সময়ের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয় আদালত।


http://dlvr.it/T6gshj

Post a Comment

0 Comments