Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মৌলভীবাজারে অতিবৃষ্টিতে পানিবন্দি বড়লেখাবাসী

রোববার রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর চৌমুহনী, কলেজ রোড, হাটবন্দ, পানিদার, কাঠালতলী, হাকালুকিসহ বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার ফসলি জমি, পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ থেকে শুরু করে বাজারের ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবশ্য পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জলাবদ্ধতা আরও দীর্ঘ হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাথারিয়া পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের উত্তর চৌমুহনী, কলেজ রোড, আদিত্যের মহাল, হাটবন্দ, পানিদার এলাকায় ঢুকতে থাকে। ফলে বিপাকে পড়ে স্থানীয় জনসাধারণ।

বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও নারী শিক্ষা অ্যাকাডেমিতেও পানি ঢুকতে দেখা গেছে তাছাড়া বড়লেখা-কুলাউড়া সড়কের কাঠালতলী ও শাহবাজপুর সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ছড়াগুলো পর্যাপ্ত খনন না হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এলাকার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ফসলি জমি, পুকুর, ফিশারিসহ অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌর শহরের উত্তর চৌমুহনীর একাংশে প্রধান সড়কের ওপর দিয়ে এবং জফরপুর আঞ্চলিক সড়কে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক লোকজন ঘরবাড়ি ফেলে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
রিপন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে, যা আগে কখনও হয়নি। এর ফলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার বাড়িতেও পানি। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। এখন আবার লাগাতার বৃষ্টি হলে সমস্যায় পড়তে হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর শহরে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও বিভিন্ন ছোটবড় ছড়া অবৈধভাবে ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ ও স্থাপনা তৈরি করার কারণে পানি ঠিকমতো প্রবাহিত হতে পারছে না। সেজন্য ভারী বৃষ্টিপাত হলেই উত্তর চৌমুহনীর একাংশের লোকালয়ে ও বাজরে পানি ঢোকে।

বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, পৌর এলাকার প্লাবিত অংশে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজে পানিবন্দিদের আপাতত আশ্রয় এবং তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, ছোটবড় ছড়াগুলো অবৈধভাবে ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেও কোনো ফল পাইনি।
পৌর শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও যথাযথ পানি নিষ্কাশনের উপযোগী নয়। তাই ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় স্থানগুলো মেরামতের জন্য দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।


http://dlvr.it/T7bnfz

Post a Comment

0 Comments