অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকার পরও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা কীভাবে দেশ ছাড়লেন- এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে অন্যায়কারীদের ছাড় দেয়া হবে না ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এমন বক্তব্য নিছক লোকদেখানো ও প্রতারণা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি গণমাধ্যমে দেখলাম যে বেনজীর (সাবেক আইজিপি) ও তার পরিবার ৪ মে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন। যাওয়ার আগে তিনি তার সব ব্যাংক হিসাব খালি করে প্রায় ৬০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। টাকার পরিমাণ আরও বেশি কিনা জানি না।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন, তিনি কীভাবে দেশ ছাড়লেন? সুতরাং তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য আদালতের আদেশ এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা দায়েরের পদক্ষেপের তাৎপর্য কী? যখন বলা হলো যে তাকে কোথাও যেতে দেয়া হবে না, তখন তিনি কীভাবে সরকারের নাকের ডগার উপর দিয়ে সিঙ্গাপুরে গেলেন?
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও মন্তব্য করেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তারা (সরকার) কি মনে করেন সব মানুষই বোকা? বাংলাদেশের মানুষ অবিবেচক নয়। তারা বোঝে যে ক্ষমতাসীনদের এসব বুলি লোকদেখানো ও প্রতারণা। তারা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে দেশ শাসন করছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার শুধু বেনজীর ও আজিজ আহমেদকেই (সাবেক সেনাপ্রধান) লালন-পালন করেনি; বরং অসংখ্য দুর্নীতিবাজকে প্রশ্রয় দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে লুটপাটের নিরাপদ স্বর্গে পরিণত করেছে।
আমাদের অবশ্যই এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মাধ্যমে সর্বত্র ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়া এই দানবকে আমরা পরাজিত করব, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।
ফখরুল বলেন, বিএনপি অনেকগুলো বিরোধী দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সংগ্রামে বিজয় ও সফলতা অর্জন করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লক্ষ্য থেকে বিএনপি কখনও পিছপা হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য অবিচল থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কৌশলগুলো পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা তাদের সবাইকে সংগঠিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা ব্যর্থ হইনি। আমরা আবার কাজ শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ, বিজয় আমাদের হবে; আমরা সত্য ও ন্যায়ের পথে লড়াই করছি।
http://dlvr.it/T7hYvB
0 Comments