Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

শীতলক্ষ্যায় ভাঙনে গৃহহারা ৫ পরিবার

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাপাসিয়া মধ্যে পাড়া গ্রামের পাঁচটি পরিবারের বসত ঘর নদীতে ভেঙে গেছে।
কদিন ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। এই ভাঙনের ফলে এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক। অনেক পাকা ঘর, মাদ্রাসা, ঈদগা মাঠও ভাঙনের আশঙ্কায়।
সরজমিনে পরিদর্শন গিয়ে দেখা যায়, ফকির মজনু শাহ সেতু সংলগ্ন উত্তর পাশে কাপাসিয়া মধ্যপাড়া গ্রাম। শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে একটি ঘনবসতি এলাকা যার স্থানীয়দের কাছে কুলু পাড়া নামে পরিচিত। গত রোববার রাতে অতিবর্ষণের ফলে এলাকার হেনা বেগম, মাসুদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, আক্কাস আলী ও কিরন মিয়ার বসত ঘর ও বড় গাছপালা সহ নদীতে দেবে গেছে।
পাশেই রয়েছে কাপাসিয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। ঈদগার সাথে রয়েছে মসজিদ, মসজিদের উত্তর পাশে রয়েছে একটি মাদ্রাসা। এই ভাঙনের ফলে আশেপাশের বাড়ি ও মসজিদ মাদ্রাসা ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, যেকোনো সময় বড় ধরনের ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে। ঈদের আগের দিন রাতে এই ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনের ফলে পাঁচটি পরিবারের ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বসত ঘর ভেঙে নদীতে চলে গেছে। এখন আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। এই বৃষ্টি বাদলের দিনে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। অন্যান্য ঘরের মেঝেতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে যেকোনো সময় পুরো বাড়ি নদীতে চলে যেতে পারে। এ অবস্থায় আমরা কি করব তার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।
হেনা বেগম বলেন, আমার রান্নাঘর সহ থাকার ঘরের অর্ধেক ভেঙে গেছে নদীতে। যে কোন সময় বাড়ির বাকি অংশটুকু ভেঙে পূর্ব দিকে নদীতে চলে যেতে পারে। এখন আমি অন্যের বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছি। অবৈধ ভাবে এসব এলাকায় বালি খননের ফলে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনের শিকার বাবুল মিয়া বলেন, হঠাৎ করে এইভাবে বাড়িঘর বিলীন হবে আমরা কেউ বুঝতে পারিনি। আমার একটি ঘরই ছিল তা ভেঙে গেছে নদীতে। এখন থাকারও জায়গা নেই। এ অল্প জায়গাটুকুর মধ্যে বাড়ি করে বসবাস করতেছি। এই শেষ সম্বলটুকু নদী ভেঙে নিয়ে গেছে। এখন কি করব কোথায় যাব জানি না।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করেই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে একটি আধা পাকা ঘরসহ পাঁচটি ঘর নদীতে দেবে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে মাদরাসা ও ঈদগাহ মাঠসহ অর্ধশত বাড়িঘর। আকস্মিক ভাবে নদী ভাঙনে চরম আতঙ্কে আছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেও জায়গার অভাবে অন্যত্র যেতে পারছেন না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমানত হোসেন খান বলেন, নদী ভাঙনের শিকার হওয়া পরিবারকে সহযোগিতা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


http://dlvr.it/T8Z3yJ

Post a Comment

0 Comments