নেত্রকোণার পূর্বধলায় সদ্য খনন করা লাউয়ারী নদীতে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মাছ শিকার করতে নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষ্টপুর বাজারের পশ্চিম পাশে কৃষ্টপুর গ্রামের সেকান্দার আলী ও তার ছেলেরা এবং ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের দিউপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান দিউপাড়ার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া লাউয়ারী নদীতে অবৈধভাবে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে মাছ শিকার করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধ বাঁধের কারণে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বাঁধের পাশে নদীর পাড়ে খুপরি ঘর বানিয়েছেন প্রভাবশালীরা। এছাড়া নদীর বেশ কয়েকটি জায়গায় নেট দিয়ে আটকে দেয়া রয়েছে।
প্রশাসনের দেয়া তথ্যানুযায়ী, প্রবাহমান কোনো জলাশয়ে কোনো ধরনের বাঁধ, স্থায়ী অবকাঠামো বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
তবে জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও মাছের চলাচল বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করলে শাস্তির বিধান থাকলেও এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
তাদের অভিযোগ, জনসাধারণের নৌ চলাচল বন্ধ করে জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন নদীপথে কৃষিপণ্য পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে, অন্যদিকে জাল ব্যবহার করায় মাছের প্রজনন ব্যবস্থা ধ্বংস হচ্ছে।
সাইদুল আলী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, প্রতি বছর এভাবে তারা নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করেন। প্রভাবশালীরা নদীতে বাঁধ দেয়ার ফলে অন্য কেউ নদীতে নামতে পারে না। কোনো নৌকাও চলাচল করতে দেয় না বাঁধ-মালিকরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজোয়ানোর রহমান রনি বলেন, নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের ঘটনাটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানলাম। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।
পূর্বধলা উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. বদিউজ্জামান বলেন, লাউয়াড়ী নদীতে বাঁশ ও বাঁশের পাটির মাধ্যমে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার খবরটি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও মো. খবিরুল আহসান জানান, মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
http://dlvr.it/T8BMYg
0 Comments