বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ব্যাটিংয়ের অসহায়ত্ব প্রকাশ করল শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন হাসারাঙ্গা অ্যান্ড কোং।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয়ে গেছে তারা। ফলে ৭৮ রানের লক্ষ্য পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
ইনিংসের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দানবীয় গতি সামলে রান বের করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের। এরই মধ্যে চতুর্থ ওভারে বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া অটনিয়েল বার্টম্যানের হাতে বল তুলে দেন মার্করাম। ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই সাফ্যলের দেখা পান তিনি।
বার্টম্যানের প্রথম ডেলিভারিতে সজোরে ব্যাট চালিয়ে বল সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন নিশাঙ্কা। তবে উপরের কানায় লেগে তা ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে চলে যায়। সেখান থেকে বলটি তালুবন্দি করেন ক্লাসেন। নিশাঙ্কা ৮ বল মোকাবিলা করে ৩ রান করে ফিরলে ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা উইকেটে কিছুক্ষণ থিতু হলেও অষ্টম ওভারের শেষ বলে নিজের প্রথম ওভারে সাফল্যের দেখা পান নর্টকিয়াও। প্যাডের দিকে আসা ডেলিভারিটি ঘুরিয়ে স্কয়ার অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় রিজা হেনড্রিকসের হাতে ধরা পড়েন কামিন্দু মেন্ডিস।
পরের ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে হাসারাঙ্গা ও সামারাবিক্রমাকে যথাক্রমে স্ট্যাম্পড ও বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার প্যাভিলিয়নে পাঠান কেশব মহারাজ। মাঝখানে এক ওভার গেলে দশম ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসের উইকেট নেন ট্রিস্টান স্টাবস। দুই বল পরে আসালঙ্কাকে ফেরান নর্টকিয়া।
মাত্র ৪৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখা শুরু করেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে আক্রমণের ধার কমাননি মার্করাম।
এরপর দলীয় ৬৮ রানে দাসুন শানাকা ও ৭০ রানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সাজঘরে ফিরলে ইনিংসের সমাপ্তি টানা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরে দুই ওভারে এক রান নেওয়ার পর আউট হন থিকশানাও। শেষ ওভারের প্রথম বলে নুয়ান তুশারা রান আউট হলে ৭৭ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
দলের হয়ে কুশল মেন্ডিসের ১৯ রানের ইনিংসটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তিনি ছাড়া আর দুজন কেবল নিজেদের রান দুই অঙ্কে নিতে পেরেছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন নর্টকিয়া। কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন দুই করে উইকেট।
একইসঙ্গে অভিষিক্ত বার্টম্যানের কথা না বললেই নয়। প্রোটিয়াদের হয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট নেয়া এই বোলার চার ওভারে একটি মেইডেনসহ মাত্র ৯ রান খরচ করেছেন।
http://dlvr.it/T7mz1F
0 Comments