আমি নারী আমি পারি এমন চিন্তাকে ধারণ করে শুরু হলো বিউটি কুইন বাংলাদেশ-২০২৪ প্রতিযোগিতা।
শুধু সুন্দর মুখ নয়, একটি মেয়ে আরো অনেক কিছু। তার প্রতিভা আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা, পরিশ্রম ও প্রত্যয় সবকিছু নিয়েই একটি মেয়ে। দেখা-অদেখা সবটা মিলেই সে হয়ে ওঠে অনন্য। আর বিউটি কুইন বাংলাদেশের এবারের আয়োজন এই অদেখা সৌন্দর্যের খোঁজেই।
লুকায়িত সৌন্দর্যকে খুঁজে বের করতে রোববার সকাল ৯টার দিকে রাজানীর সেগুনবাগিচার কচি কাঁচার মেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
এর মাধ্যমে আজ থেকে শুরু হলো বিউটি কুইন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার প্রথম ঢাকা বিভাগের অডিশন কার্যক্রম। বাংলাদেশে এই প্রথম ১৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সের যেকোনো নারী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন।
এ প্রসঙ্গে লাবণ্য মিডিয়া হাউজের কর্ণধার ও প্রযোজক মো. হেদায়েত উল্লাহ তুর্কী বলেন, আমাদের এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যারা বের হয়ে আসবে তারাও একদিন শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা চাই নারী যেন কোনো বয়সে আটকে না যায়।
তিনি বলেন, নারী সবসময় সুন্দরের প্রতীক। সে নারী হোক ১৬ কিংবা ৬১ বছরের। যে নারীরা টিনেজ বয়সে কোনো ধরনের প্রতিয়োগিতায় নানা কারণে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়নি তারা এখন এই বিউটি কুইন বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্ফটিত করে তুলতে পারবে।
স্কাই লাইন বিডি এন্টারটেইনমেন্টের স্বত্বাধিকারী আকাশ কুমার সাহা বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য সমাজে নারীরা যেন পিছিয়ে না থাকে। নারীরা যেন সমাজের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। এ বছর যিনি বিউটি কুইন বাংলাদেশ জয়ী হবেন তিনি পাবেন পাঁচ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের মুকুট পুরস্কার, আরও পাবেন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা। এছাড়াও শীর্ষ দশ প্রতিযোগির জন্য থাকছে স্বর্ণের মুকুট, কিন্তু সেটা পরিমাণে কম। অংশগ্রহণকারী প্রদিযোগীদের রয়েছে নাটক, সিনেমা এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করার সুযোগ।
রিয়েলিটি শোর অন্যতম সমন্বয়ক স্নিগ্ধা হোসাইন প্রিয়া বলেন, সব বয়সের নারীদের সাড়া পাচ্ছি। পিছিয়ে পরা নারীরা প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে বিউটি কুইন বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান, ১৬ থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত যে কোন নারী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিউটি কুইন হওয়ার জন্য এর রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। ওযেবসাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে www.beautyqueenbangladesh.com এছাড়া রয়েছে Beauty Queen Bangladesh নামে একটি ফেসবুক পেইজ। এই পেইজে গিয়েও তাদের সকল তথ্য পাওয়া যাবে।
এবারের আসরের বিচারক হিসেবে ছিলেন চিত্র পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ফ্লিম ক্লাবের সভাপতি শামসুল আলম, চিত্র নায়িকা এবং বিউটি এক্সপার্ট নাহিদা আশরাফ আন্না, অভিনেতা আশরাফ কবির, সমাজ সেবক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বেবি নাজনীন, অ্যালায়েন্স হসপিটালের পরিচালক মো. বায়েজিদ হোসেন, এসএ প্লাইউড কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ঝন্টু।
এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সন্ধ্যা ৬টায় কেক কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার।
http://dlvr.it/T82kyL
0 Comments