Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কুড়িগ্রামে বন্যার পদধ্বনি

কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টির পানিতে নদ-নদী তীরবর্তী চর, দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে।
বন্যার শঙ্কা নিয়ে দিন কাটছে নদী-তীরবর্তী মানুষের। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় স্বল্প মেয়াদে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় স্থানীয় পাউবো সূত্রে জানা যায়, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফুলবাড়ি উপজেলায় তালুক শিমুলবাড়ী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধরলা সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ও ধরলা সেতু পয়েন্টে ১ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া রেল সেতু পয়েন্টে তিস্তা ১৯ সেন্টিমিটার, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় পাটেশ্বরী সোনাহাট সেতু পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ৫ সেন্টিমিটার, নাগেশ্বরী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী নৌ-বন্দর পয়েন্টে ১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্ট দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। অপরদিকে সোমবার রাত থেকে কুড়িগ্রামে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রামে ধরলা পাড়ের মতিয়ার রহমান বলেন, ধরলার পানি বাড়ার কারণে আমার পটল খেত তলিয়ে গেছে। এখন সব পটলের গাছ মরে যাবে। পানি না এলে আরও অনেক টাকার পটল বিক্রি করে লাভবান হতে পারতাম।
রাজারহাট তিস্তা পাড়ের আসলাম বলেন, ভারি বৃষ্টিতে নদীর পানি অনেকটা বেড়েছে। চরের অনেক বাদাম ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। চরের তোলা বাদাম ঘরে আনতে পারছি না। সব ডুবে গেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ১২ ঘণ্টায় জেলায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দুদিন এমন বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আসন্ন বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ।


http://dlvr.it/T8RNvX

Post a Comment

0 Comments