Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

রাজধানীর স্থানে স্থানে তীব্র যানজট, ভোগান্তি

সাপ্তাহিক দুদিন ছুটিসহ হিসাব করলে টানা পাঁচ দিন পর বুধবার সীমিত পরিসরে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
নির্ধারিত সময় মাথায় রেখে নগরের অফিসমুখো মানুষ ঘর থেকে বেরিয়েই বিপাকে পড়েছেন। যানবাহন সংকটে তাদেরকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। সিটি সার্ভিসের বাস তুলনামূলক কম থাকায় তাদেরকে বাস ধরার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। অনেককে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আবার দূরত্ব বিবেচনায় রিকশাযোগে কর্মস্থল অভিমুখে ছুটতে হয়েছে।
তবে রাজধানীর রাজপথ যানজটমুক্ত থাকেনি সকাল থেকেই। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রচণ্ড যানজট লেগে আছে। ফার্মগেট, মিরপুর, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, বনানী, তেজগাঁও, মহাখালীসহ বিভিন্ন রাস্তায় যানজটের স্থবিরতা বিরাজ করছে।
গণপরিবহন না পাওয়ায় এবং যানজটের কারণে অফিসগামী যাত্রীরা বিপদে পড়েছেন। কারফিউ শিথিলের সময়ে আজ বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস খোলা থাকছে। কিন্তু যানবাহন পেতে দেরি হওয়ায় এবং যানজটে পড়ে অনেকে সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছতে পারেননি। আবার অফিস ছুটি শেষে কারফিউয়ে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বাসাবাড়িতে ফিরতে পারবেন কিনা সেই অনিশ্চয়তা-আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তারা।
পাঁচ দিন পর অবশেষে আজ বুধবার (২৪ জুলাই) সীমিত পরিসরে খুলেছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাস, সিএনজি ধরার চেষ্টা করতে দেখা গেছে মানুষকে।
এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, বনানী, তেজগাঁও, মহাখালীসহ বিভিন্ন রাস্তায় দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড যানজট।
মতিঝিলে অফিসে যাওয়ার জন্য সকাল ১০টায় বনানী-কাকলীর বাসা থেকে বের হন সৈয়দ রুবেল আহমেদ। তিনি বলেন, বাসা থেকে মূল সড়কে আসার পরই দেখি যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। অথচ তার মধ্যে বাসের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। আশপাশের গলিগুলোও ছোট গাড়ির চাপে স্থবির হয়ে আছে।
মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কিছু গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। এজন্য মহাখালী-নাবিস্কো সড়কও যানজটে স্থবির হয়ে আছে। এই অংশে গাড়ি চলাচল করছে খুবই ধীরগতিতে।
গুলশান ১ নম্বর লিংক রোড এলাকায় ওয়াটার ট্যাক্সি টার্মিনাল থেকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন রয়েছে।
তবে সকাল ৮টার দিকে সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানজট কম ছিল বলে জানান মোহাম্মদপুর থেকে বাংলামোটরে আসা এক ব্যক্তি।
সকালে সাভার থেকে তেজগাঁওয়ের কর্মস্থলে আসা সংবাদকর্মী আজহারুল ইসলাম জানালেন, গাবতলী ও মিরপুর-১ থেকে যেসব বাস আসছে, সেগুলো শ্যামলী শিশুমেলা ক্রসিংয়ে আসার পর আগারগাঁওয়ের দিকে ডাইভার্ট করা হচ্ছে। অন্যদিকে মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় মিরপুরের যাত্রীরাও একই রুট ব্যবহার করছেন। ফলে শিশুমেলা থেকে খামারবাড়ি পর্যন্ত সড়ক যানজটে প্রায় অচল।
অন্যদিকে সকাল ১০টার পর গুলশান ২ থেকে পান্থপথের উদ্দেশে যাত্রা করা আসিফ বলেন, একসঙ্গে অনেক মানুষ বের হওয়ায় অফিসে যাওয়ার জন্য বাস, সিএনজি বা বাইক খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। কোনোক্রমে যানবাহনে উঠতে পারলেও জটে পড়ে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে।


http://dlvr.it/TB0Wxf

Post a Comment

0 Comments