Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

শাহবাগ মোড় অবরোধ কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের

চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে বুধবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এতে চারপাশের সড়কের যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে আন্দোলনকারীরা মোড় অবরোধ করেন।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেয়া শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এ কর্মসূচিতে মিছিল সহকারে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পরে এ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বর, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ এলে শিক্ষার্থীরা মোড়ে বসে পড়েন। এর আগে সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ, তবে অবরোধের সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়নি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় দখলে রেখেছিলেন।
এর আগে গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজকের এই কর্মসূচিসহ আরও তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ ৩ জুলাই এবং আগামীকাল ৪ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ঢাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে একত্র হবেন।
এর আগে মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। ওই সময় শিক্ষার্থীরা কোটা না মেধা?, মেধা মেধা, হাইকোর্টের রায় মানি না মানব না, কোটা বাতিল করো, বাতিল করো, ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই ধরনের স্লোগান দেন।
আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ৪ জুলাইয়ের মধ্যে আইনিভাবে আমাদের দাবির বিষয়ে চূড়ান্ত সুরাহা করতে হবে। আমাদের আশ্বস্ত করতে হবে, যাতে কোটাব্যবস্থার চূড়ান্ত ফয়সালা করা হয়। এ ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।


http://dlvr.it/T95d89

Post a Comment

0 Comments