মতিউর ও পরিবারের চার ফ্ল্যাটসহ ১০১৯ শতক জমি জব্দের নির্দেশ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও এক হাজার ১৯ শতক জমি জব্দের (ক্রোক) নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। এর আগে এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন।
ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- বরিশালের মুলাদি উপজেলায় মতিউরের নামে ১১৪ শতাংশ জমি, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মরজাল ইউনিয়নের মরজাল মৌজায় লায়লা কানিজের নামে ৫২২ দশমিক ৫২ শতাংশ জমি, তাদের ছেলে আহমেদ তৌফিক অর্ণবের নামে ২৭৫ দশমিক ৮৭৫ শতাংশ জমি, ফারহানা রহমান ইপ্সিতার নামে ১০৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ জমি।
চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে লায়লা কানিজের নামে বসুন্ধরায় একটি ফ্ল্যাট, শাম্মী আখতার শিভলীর নামে জিগাতলায় একটি ও বসুন্ধরা আবাসিকে একটি এবং ফারহানা রহমান ঈপ্সিতার নামে বসুন্ধরা আবাসিকে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডার ইনভয়েসিং/ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালতের বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
আবেদনে আরও বলা হয়, অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিগুলো ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।


http://dlvr.it/T988jg