রাজধানীর বংশালে উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুসারীদের সঙ্গে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে এই সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ কর্মী মো. নাঈম, মো. রুবেল ও রুবেল গাজী এবং কলোনির বাসিন্দা সুবল লাল, রুমন দাস, উদয়, ঋষি কুমার, বিরুল দাস, বিমল দাস, করুণ দাস, শিবলাল, প্রশান্ত, নিরঞ্জন দাস, নিলয় দাস ও দীপ্ত দাস।
সংঘর্ষে আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা
যুবলীগ নেতা মকবুল হোসেন জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়াল হোসেনসহ তারা সুইপার কলোনিতে যান সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে। তাদের কলোনি থেকে সরে যেতে বলা হয়। এসব বিষয় নিয়ে দুপক্ষের আলোচনার সময় সুইপাররা ভবনের ওপর থেকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
সুইপার কলোনির বাসিন্দা উদয় কুমার বলেন, আমরা সকাল ১০টার দিকে উচ্ছেদের বিরোধিতা করে সংবাদ সম্মেলন করি। এটি শেষ হতে না হতেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশসহ কাউন্সিলরের লোকজন কলোনিতে ঢোকেন। কলোনির বাসিন্দারা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ঢুকতে দিলেও বাধা দেয় কাউন্সিলরের লোকজনদের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাদের মারধর করেন।
চিকিৎসকের বরাতে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে বিকেল পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সবার অবস্থাই শঙ্কামুক্ত।
বংশালের আগা সাদেক লেনের মিরনজিল্লা হরিজন সিটি কলোনি উচ্ছেদের জন্য সম্প্রতি নোটিশ দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
জানা গেছে, ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযানের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছে আপিল বিভাগ।
http://dlvr.it/T9QMvW
0 Comments