Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

চারদিনে শিক্ষার্থীদের সংগ্রহ পাঁচ কোটি টাকার বেশি, ব্যয় ৩০ লাখ

দেশের বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে দুর্গত মানুষকে সহায়তার জন্য গত তিনদিন ও রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইন এবং অফলাইনে পাঁচ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৬০৩ টাকা ৬৮ পয়সা সংগ্রহ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আর এখন পর্যন্ত তারা ১২টি খাতে মোট ব্যয় করেছে ৩০ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ টাকা।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন উইংয়ের প্রধান রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত ও টিএসসি বুথের প্রধান সমন্বয়ক অদিতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গত বৃহস্পতিবার গণত্রাণ সংগ্রহ শুরু হয়। রোববার চতুর্থ দিনের মতো এই কর্মসূচি চলছে। তবে যে হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে সেটি এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২২ তারিখ বৃহস্পতিবার থেকে আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিএসসিতে নগদ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে চার কোটি ৩৯ লাখ এক হাজার ৬৯০ টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) মাধ্যমে সংগ্রহ হয়েছে ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ১২০ টাকা।
আর ব্যাংকের মাধ্যমে ২১ লাখ সাত হাজার ৭৯৩ টাকা ৬৮ পয়সা সংগ্রহ হয়েছে। ফলে মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ২৩ লাখ তিন হাজার ৬০৩ টাকা ৬৮ পয়সা।
ব্যয়ের ব্যাপারে জানানো হয়, ব্যয়কৃত অর্থ ত্রাণসামগ্রী, জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী রাখার ব্যাগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের খাবার কেনা বাবদ খরচ হয়েছে।
এসবের মধ্যে খেজুর বাবদ ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা, মুড়ি বাবদ চার লাখ ৩০০ টাকা, বিস্কুট বাবদ দুই লাখ এক হাজার ৫০ টাকা, গুড় বাবদ দুই লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ টাকা, ভলান্টিয়ারদের রাত ও দুপুরের খাবার বাবদ ৩৯ হাজার টাকা, পলিথিন এক লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা, বস্তা এক লাখ ৭৯ হাজার টাকা, চিনি আড়াই লাখ টাকা, রিকশা ও ভ্যান ভাড়া ৬৫০ টাকা এবং দড়ি, কলম ও কাটার বাবদ ৭৩০ টাকা ব্যয় হয়। এছাড়া গাড়ির সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের আট হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক রেজওয়ান রিফাত বলেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরে গণত্রাণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫০টি ট্রাক পূর্ণ করে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকে একই ত্রাণ দেয়ায় একটি প্যাকেজ তৈরিতে বিভিন্ন জিনিসের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে সংগৃহীত টাকা থেকে সেগুলো ক্রয় করতে হয়েছে। তাছাড়া অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকের দুপুর ও রাতের খাবারের পেছনেও আমাদের খরচ হয়েছে। প্রতি ট্রাকে প্রথম দিকে ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক পাঠানো হয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে পাঁচজন এবং বর্তমানে তিনজন করে পাঠানো হচ্ছে।
ত্রাণ কার্যক্রমের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংগৃহীত অর্থ-সামগ্রী দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে সশরীরে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি থেকে সংগৃহীত এবং ক্রয়ক্রিত সামগ্রী ব্যবহার করে একটি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাদ্য এবং ওষুধের প্যাকেজ তৈরি করা হয়। এরকম আটশ থেকে এক হাজার প্যাকেজ এবং ২০ থেকে ৩০ কেস পানি দিয়ে একটি ট্রাক পরিপূর্ণ করা হচ্ছে।
জানানো হয়, বন্যাকবলিত এলাকায় গত ২২ তারিখ থেকে আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত যে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় সেখানে ৫০টি ট্রাকের মাধ্যমে ৫০ হাজারের বেশি প্যাকেজ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে তিন হাজার প্যাকেজ হেলিকপ্টারযোগে বন্যাকবলিত দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বণ্টন করা হয়েছে এবং তিন লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে।


http://dlvr.it/TCM8hc

Post a Comment

0 Comments