চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে নোহান মিয়া নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি গজিনিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ১২ বছর বয়সী নোহান একই এলাকার আমিন হোসেনের ছেলে।
পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেকুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে আজ শনিবার দুপুর নাগাদ এক শিশু নিখোঁজের খবর পাই। খোঁজাখুঁজির পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ভারী বর্ষণে সাধনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাস্টার পাড়ায় একটি মাটির ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে মাটিচাপায় দুটি ছাগল এবং হাঁস-মুরগি মারা গেছে। আহত হয়েছেন গৃহস্বামী ভূপতি দে কালু ও তার স্ত্রী জয়শ্রী দে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বর্ষণে ধসে পড়েছে মাটির ঘর। আহত দম্পতি হাসপাতালে। ছবি: নিউজবাংলা
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কেএম সালাউদ্দিন কামাল বলেন, আমার ইউনিয়নে সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করি। স্থানীয় একটি কাঁচা মাটির বাড়ি চাপা পড়ে দুজন আহত হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
বাঁশখালীতে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালীপুর, বৈলছড়ি, কাথরিয়া, জলদী, শীলকূপ, চাম্বল, পুঁইছড়ি এলাকায় পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার লোকজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির ফলে উপজেলার সাধনপুর, কালীপুরের গুনাগরি পয়েন্ট ও বৈলছড়ি বাজার, পৌরসভার বাঁশখালী প্রধান সড়ক উপচে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হয়। এতে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অনেকের বসতঘর তলিয়ে যায়। তলিয়ে যায় পূর্ব বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রামের চলাচলের সড়কগুলো। পাশাপাশি মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তলিয়ে যায়।
অধিকাংশ মাছের খামার ও পুকুর তলিয়ে গিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য খামারিরা। পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখল, দূষণ এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এমন অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, পুঁইছড়ি ইউনিয়নে এক শিশুর মৃত্যুর খবর স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নের খবর রাখছি।
http://dlvr.it/TC2Qfv
0 Comments