Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা খুন, গণপিটুনিতে নিহত ১

পূর্ববিরোধের জের ধরে বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লেদু নামে এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে গণপিটুনি দিলে তিনিও মারা যান।
সোমবার রাত ৯টার দিকে বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বগুড়া সদর থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান নেতাকর্মী নিয়ে রাত ৯টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে কথা বলছিলেন। ওই সময় বিদ্যুৎ ছিল না। এ সুযোগে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে এসে মিজানুর ও তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিজানুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে চলে যায়।
স্থানীয়রা আহত মিজানুরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি গোকুল উত্তরপাড়ার আফসার আলীর ছেলে।
এ ঘটনার পরপরই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গোকুল মধ্যপাড়া এলাকার বুলু মিয়ার পুত্র সালমান হোসেনে লেদুকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত লেদুকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির আগেই উপস্থিত বিক্ষুব্ধ কয়েকজন তাকে আবারও মারধর করে। এরপর রাত আনুমানিক ১১টায় লেদু মারা যান।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যে স্থানীয়রা জানান।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই মিজানুর মারা যান। অপরদিকে হাসপাতালে নেয়ার সময় মারা যান লেদু।
সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, দুজনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ড তদন্তের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কাজ শুরু করেছেন। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এদিকে মিজানুর নিহত হওয়ার খবর পেয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে যান।


http://dlvr.it/TD3c2n

Post a Comment

0 Comments