Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পুরো ক্যাম্পাস নয়, ঢাবির নির্দিষ্ট স্থানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস নয়, শুধু আবাসিক ও একাডেমিক স্থানগুলোতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিসহ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আট দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইউআরআই)।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলেও থাকতে পারবে। তবে সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মুখপাত্র শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আদনান মুস্তারি এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা।
সংগঠনটির পক্ষে আদনান মুস্তারি আটটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।

প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক স্থান (হল, হোস্টেল প্রভৃতি) ও একাডেমিক স্থানে (অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট প্রভৃতি) সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি (সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, সম্মেলন, শোভাযাত্রা, শোডাউন প্রভৃতি) নিষিদ্ধ করা হবে।
২. কোনো প্রকার রাজনৈতিক পরিচয় বা সংশ্লিষ্টতা ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী উল্লিখিত স্থানগুলোতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, কোনো সুযোগ-সুবিধা আদায় বা বিশেষ বিবেচনালাভের প্রচেষ্টা চালাতে পারবে না।
৩. কোনো শিক্ষার্থী যদি উল্লিখিত কর্মকাণ্ডগুলোতে জড়িত হয় তবে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং এই মর্মে সিন্ডিকেটে আইন পাস করতে হবে।
৪. উল্লিখিত স্থানগুলোতে কোনো দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের প্রচেষ্টা ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত পরিসরে কেউ কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করলে বা নিজস্ব মত প্রকাশ করলে তাকে কোনো শাস্তির আওতাভুক্ত করা হবে না।
৫. দ্রুততম সময়ের মধ্যে হল ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বৈধ শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটার হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। স্নাতক পর্যায়ের বৈধ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ভর্তি হওয়ার সেশন থেকে বর্তমান শিক্ষাবর্ষের পার্থক্য ছয়ের বেশি হবে না। যেমন- ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ ধরে নিয়ে ২০১৭-১৮ সেশনের সব বৈধ শিক্ষার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একইভাবে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভর্তি সেশনের সঙ্গে বর্তমান সেশনের পার্থক্য দুইয়ের বেশি হতে পারবে না।
৭. ডাকসু বা হল সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। সব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে নিজস্ব ইশতেহার ঘোষণা করতে হবে। কোনো প্যানেল হিসেবে কেউ নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
৮. ছাত্র-শিক্ষক সমন্বয়ে অভিজ্ঞ প্যানেল তৈরি করে ডাকসুর সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার সুপারিশমালা প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের সংশোধনী বাস্তবায়ন করতে হবে।
হলে রাজনৈতিক মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নে আদনান মুস্তারি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। আমরা কারও সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত করার পক্ষে না। রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন। তবে সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী তামিম মুনতাসির, ফজলুল হক মুসলিম হলের আনোয়ার ইব্রাহীম বিপ্লব, বিজয় একাত্তর হলের জোবায়ের হোসেন শাহেদ, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের রেদওয়ানুল হাসান শান্ত প্রমুখ।


http://dlvr.it/TCxzJK

Post a Comment

0 Comments