বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডায় মো. সুমন শিকদার হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল আলম বুধবার বিকেলে আসামিকে আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি তৌফিক-ই-ইলাহী ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়ায় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পলাতক আসামিদের পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাকে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।
রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। আর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ডিবির একটি টিম তৌফিক-ই-ইলাহীকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণিতে রাস্তার ওপর গুলিতে নিহত হন সুমন সিকদার। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় তৌফিক-ই-ইলাহীকে সাসপেক্টেড আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সাবেক এই জ্বালানি উপদেষ্টা সিভিল সার্ভিস অফ পাকিস্তান (সিএসপি) কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০২ সালে অবসরে যান তিনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
http://dlvr.it/TD60l7
0 Comments