চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বন্য হাতির আক্রমণে মো. দুলাল ও রেহেনা আক্তার নামে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার রাতে পৃথম ঘটনায় তারা মারা যান।
৬০ বছর বয়সী দুলাল উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আহম্মেদ বাড়ির মৃত মুজিবুর হকের ছেলে। তার তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. নুরুল আলম বলেন, মো. দুলাল সোমবার রাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেয়াং পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি বন্যহাতি শূঢ় দিয়ে তুলে তাকে আছাড় মারে। এতে তিনি গুরুতর আহন হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মারা যান।
হাতির আক্রমণে প্রাণ হারানো রেহেনা আক্তারের বাড়িতে স্বজন ও প্রতিবেশীর ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, একদল বন্য হাতি সোমবার রাতে এলাকায় তাণ্ডব চালায়। রাত ১০টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একসঙ্গে তিনটি হাতি প্রবেশ করে। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আক্তারের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রাত ১টার দিকে বন্য হাতি দেখতে বের হলে পেছন থেকে একটি হাতি এসে তাকে আঘাত করে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
আনোয়ারা থানার ওসি মনির হোসেন জানান, হাতির আক্রমণে প্রাণ হারানো দুলালের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত না করেই হস্তান্তর করা হয়েছে। পৃথক ঘটনায় হাতির আক্রমণে আহত রেহানা আক্তার হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই স্থানীয় তার মরদেহ দাফন করেছে। এ দুটি ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
এদিকে একের পর বন্য হাতির আক্রমণে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনায় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বন্য হাতি এলাকায় প্রবেশ রোধে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।
বন বিভাগের বাঁশখালী জলদি রেঞ্জের কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বলেন, বন্য হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে বনবিভাগ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
বন্য হাতিগুলো সরাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্য হাতিগুলো তাড়ানো সম্ভব নয়। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি।
http://dlvr.it/TDchZ6
0 Comments