রাজধানীর খাল দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রাজধানীর পানি ভবনে বুধবার আয়োজিত ব্লু নেটওয়ার্ক অ্যারাউন্ড ঢাকা সিটি শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, খাল দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করতে কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় হতে হবে। ঢাকা শহরের খাল নিয়ে ভাবে এমন অনেক সংস্থা আছে। তাদেরকে এ কাজে যুক্ত করতে হবে।
ঢাকা মহানগরের চারদিকে নদী, খালগুলোতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ সৃষ্টি করতে অংশীজনদের নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, একটা ওয়ার্কশপ করতে হবে। সেখানে ঢাকার প্রতিটি খালের বাস্তবচিত্র নিয়ে কথা হবে। কীভাবে খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা হতে হবে। কোন খালগুলো ইমিডিয়েট উচ্ছেদ করতে হবে আর কোনগুলো একটু বেশি সময় নিয়ে করতে হবে, সেই বিষয়ে ওয়ার্কশপে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, সামনে আমাদের যুব দিবসে কয়েকটা খাল পরিষ্কার করা যেতে পারে, যেখানে যুবকরা সরাসরি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই প্রজন্ম পরিষ্কার কোনো খাল দেখেনি।
এখনও হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল দিয়ে যেতে হয়। যুব দিবসে যখন দেখবে যুবকেরা উদ্যোগ নিয়ে খাল পরিষ্কার করছে, তখন তারা বাকি খালগুলো পরিষ্কারেও উদ্যোগ নেবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে কোন বছর আমরা কী কাজ করব, তবে এখানে দুই থেকে তিন বছরের বেশি সময় লাগার কথা না।
দুই-তিন মাস পর পর পরিষ্কার কার্যক্রমে নামতে হবে। আমাদের একটা খাল দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করতে ৩৫০ কোটি টাকা নেয়া হয়, কিন্তু এত টাকা দিয়ে নতুন একটি খাল বানানো যায়। তাই এই কার্যক্রমে ব্যয়সাশ্রয়ী হতে হবে।
http://dlvr.it/TF8TL4
0 Comments