কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোহাম্মদ ছিদ্দিক নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে শিশুটির স্বজনরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেছেন হাসপাতালে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের ওপর হামলা ও ভাংচুরের এ ঘটনায় দুই সহকারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু স্বজনরা শিশুটিকে ঘরে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায়। পরে স্বজনরা এসে হাসপাতালে হামলা চালায়।
মারা যাওয়া শিশুটি টেকনাফের গোদারবিলের আবদুল জব্বারের ছেলে। শিশুটির বাবা বলেন, টমটম দুর্ঘটনায় আমার ছেলেটা আহত হলে চিকিৎসার জন্য ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু এখানে ভুল চিকিৎসার কারণে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তাররা আমাদের অন্য হাসপাতালে রেফার করার কথা বলেননি।
তবে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু বলেন, আহত শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিকেলে কক্সবাজারে রেফার করা হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনরা আড়াই ঘণ্টা পর এসে শিশুটি মারা যাওয়ার কথা বলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা হাসপাতালেও ভাংচুর করে।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে শিশুটির স্বজনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে উপস্থিত ছিলেন- টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র, মেডিক্যাল অফিসার ডা. এনামুল হক, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন ও টেকনাফ সদরের চেয়ারম্যান জিয়ার রহমান জিহাদ।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, শিশুটির মৃত্যুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের কোনো অবহেলা ছিল না। আর স্বজনরা হাসপাতালে যে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেন তা-ও তারা আবেগের বশবর্তী হয়ে করেছেন। বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। এ নিয়ে কাউকেই সুনির্দিষ্টভাবে দায়ী করা হয়নি।
http://dlvr.it/TDwTVT
0 Comments