Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

দুর্যোগের খবরেই আতঙ্কিত দুই দ্বীপের মানুষ

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বুধবার বিকেল থেকে ঝোড়ো হওয়া শুরু হয়। এর ফলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে যাত্রীবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত উপকূলের কয়েক লাখ মানুষ।
টেকনাফ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত সড়কের পূর্বে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা নাফ নদের পাড়ে অবস্থিত শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ায় এখনও শতাধিক পরিবারের মানুষের বসবাস। এখনও ভাঙছে দ্বীপটি। এমনকি বিলীনের পথে দুটি বিদ্যালয় ভবন।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ।
মাত্র পাঁচ মাস আগে চলতি বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রিমাল টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করে। রিমালসহ আগের একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি টেকনাফ উপকূলীয় এলাকার মানুষ।
রিমালের আঘাতের পাঁচ মাস না যেতেই ফের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকে শাহপরীর দ্বীপে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে ৪০ হাজার মানুষের।
উপকূলবাসীর আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড় দানা আঘাত হানলে শাহপরীরদ্বীপে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে আবারও এলাকা প্লাবিত হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে জালিয়া পাড়ার নাফ নদের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভেঙে যেতে পারে দুর্বল বেড়িবাঁধ। এ জন্য উপকূলের বিভিন্ন এলাকার জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চিন্তিত সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের ১ লাখ মানুষ।
শাহপরীরদ্বীপের মাঝের পাড়ার নুরুল আমিন বলেন, যেকোনো দুর্যোগের খবরেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সাগর পাড়ে আমাদের বাড়ি। নদীভাঙনে আমরা এমনিতেই নিঃস্ব।
তার ওপর বছরে দুই-চারবার ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের শেষ সম্বলটুকুও শেষ করে দেয়। আজ আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জানার পরপরই আমাদের এলাকার স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পাঁচ মাস আগে একবার ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা হাফেজ আহমেদ বলেন, বিকালে তীব্র গতির বাতাস বইছে ও অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি। আজ সকালে তীব্র ঢেউয়ের কারণে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর।
এ নিয়ে স্থানীয়রা অনেক চিন্তিত। যদিও এখন পর্যন্ত বড় পরিসরে কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।
সতর্ক আছেন উল্লেখ করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন, মনে হচ্ছে বড় কিছু হতে যাচ্ছে। দ্বীপে সাগর উত্তাল রয়েছে।
সকাল থেকে আকাশ মেঘ থাকলেও বাতাস শুরু হয়েছে। এ ছাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া শাহপরীর দ্বীপের পাশাপাশি সেন্টমার্টিনকে গুরুত্ব দিয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, উপজেলার সব আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সর্তক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


http://dlvr.it/TFghDZ

Post a Comment

0 Comments