সরকারি কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়া শেষে জয়বাংলা স্লোগান দেয়ায় বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পদক্ষেপ দাবি করা হয়েছে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানেরও।
রোববার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সচেতন বাগেরহাটবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। একাত্মতা ঘোষণা করে জেলা বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল ও মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
কর্মসূচি থেকে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাগেরহাট ছেড়ে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহেদ আলী রবি, সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, মেহেবুবুল হক কিশোর, হাদিউজ্জামান হিরো, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি তারিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান টুটুল, শ্রমিক দল নেতা সরদার লিয়াকত আলী, জেলা মহিলা দল সভাপতি শাহিদা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক নার্গিস আক্তার ইভা, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী সাদ্দাম দীপ প্রমুখ।
অন্যদিকে মানববন্ধন চলাকালীন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি হারুণ-অর-রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজনের নেতৃত্বে একই দাবিতে একটি মিছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসে। মিছিলকারীরা জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের অপসারণ এবং শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বাগেরহাট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে টিকাদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানের উপস্থিতিতে বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ।
বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবি ওঠে। ওইদিন রাতেই বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতৃত্বে সিভিল সার্জনকে অপসারণের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতের পর থেকে সিভিল সার্জন অফিস করছেন না। একটি সূত্র জানিয়েছে যে বর্তমানে তিনি বাগেরহাটে নেই।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, একটি সরকারি সভায় সিভিল সার্জন যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রতিটি বিষয় মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।
http://dlvr.it/TFmyB0
0 Comments