নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর রোববার শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভোররাত চারটার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।
এর আগে গত ৩ নভম্বের দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার এ শিশু। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
এ ঘটনায় মুনতাহার হাউস টিউটর ও টিউটরের মা ও মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
আটককৃতরা মুনতাহাদের পশের বাসার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আওয়াল বলেন, গত (শনিবার) রাতেই সন্দেহবশত আমরা মুনতাহার হাউস টিউটরকে ধরে নিয়ে আসি। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হচ্ছিল।
তখন হাউস টিউটরের বাড়ির দিকে নজর রাখার জন্য রাতেই আমরা মুনতাহার পরিবারের সদস্যদের বলি।
তিনি বলেন, ভোরের দিকে মুনতাহার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, বাড়ির পাশের একটি ছড়ার মাটি খুঁড়ে মুনতাহার মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দেন ওই হাউস টিউটরের মা। সাথে সাথে আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং হাউস টিউটরের মা ও তার নাতনিকে ধরে নিয়ে আসি।
ওসি বলেন, আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে হাউস টিউটর ও তার মা মুনতাহাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন, তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ বলেন, মরদেহ এখন ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে আছে।
এর আগে মুনতাহার পরিবার দাবি করে, তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।
অপহরণকারীকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে মুনতাহা। এসে প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায় সে, কিন্তু বিকেল হলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
http://dlvr.it/TG5lYY
0 Comments