শেরপুরের নকলায় ভাতিজা ও তার দুই সন্তানের বিরুদ্ধে চাচাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের রুনীগাঁও মধ্যপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আইয়্যুব আলীর (৬৫) বাড়ি রুনীগাঁও এলাকায়। তিনি পেশায় দর্জি ছিলেন।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাতিজা মুকুল মিয়া (৪৫) এবং তার দুই ছেলে মহসিন হাসান (২৩) ও জিহান হাসানকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের ছেলে রাজন মিয়া বলেন, আমাদের পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে মুকুল মিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সেই ক্ষোভে আমার বাবা আইয়্যুব আলীকে দুই দিন আগে হত্যার হুমকি দেয় মুকুল মিয়া। আমার বাবা নকলা বাজারে দর্জির কাজ করে সংসার চালাইতেন। প্রতিদিনের মতো দুপুরের খাবার টিফিন ক্যারিয়ারে করে সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে নকলায় দর্জির কাজ করতে দোকানে যান, কিন্তু গত রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছিল।
মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। তাই পরিবারের সবাই চিন্তায় পড়ে যাই এবং বাজারে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, রাত অনুমান ১০টার দিকে কাজ শেষ করে বাড়ি চলে আসছেন, কিন্তু চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, এখনও বাবা বাড়ি আসেনি। সবাই মিলে বাবাকে খুঁজতে বের হওয়ার সময় বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে দেখি বাবার জুতা ও বাজারের ব্যাগ এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। জুতা আনতে গিয়ে দেখি মাটিতে অনেক রক্ত। আরেকটি সামনে এগিয়ে দেখি একটি মরদেহের পায়ের অংশ পুকুরের পাড়ে পা ও মাথার অংশ পানিতে ডুবে আছে।
তিনি আরও বলেন, সবাই গিয়ে ধরাধরি করে তুলে দেখি আমার বাবার গলা কাটা মরদেহ। পরে আমরা পুলিশকে সংবাদ দিই। পুলিশ বাবার মরদেহ থানায় নিয়ে যায়। মুকুল মিয়া ও তার দুই ছেলে মিলে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা রাতে সংবাদ পাই রুনীগাঁও মধ্যপাড়ায় আইয়্যুব আলী নামের এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ যায় এবং মৃতের সুরতহাল প্রস্তুতের সময় দেখতে পায় গলায়, বুকে ও চোখের ওপরে কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবারের প্রাথমিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা রাতেই তিনজনকে আটক করেছি। যাচাই-বাছাই চলছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
http://dlvr.it/TGBkCZ
0 Comments