পাবনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
শনিবার পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বেতেপাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত জালাল উদ্দিন হেমায়েতপুর কাজীপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসেম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মুন্তাজ আলীর সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম গ্রুপের বিরোধ চলছিল।
শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় একটি ইসলামী জলসা নিয়ে বিতণ্ডা হয় তাদের মধ্যে। সেই সূত্রে ধরে শনিবার সকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে আবুল হাসেমের কর্মী জালালের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে তিনি মারা যান।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় মুন্তাজ গ্রুপ ও হাসেম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত জালাল উদ্দিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্তাজ আলী এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, আমি বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম। খোঁজখবর নিয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেই ইড়ত থাকুক তার শাস্তি দাবি করছি।
http://dlvr.it/TGCq4N
0 Comments