Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করতে পারবে না সে পলিসি হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

আগামীর জন্য এমন পলিসি করা হচ্ছে যাতে কেউ আর টাকা পাচার করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, সময়সাপেক্ষ হলেও দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় শনিবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত পলিসি ডায়ালগ অন ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, গত ১৫ বছরে অর্থনীতিতে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার স্বল্পমেয়াদি সংস্কার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। তবে সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত পুরো অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয়।
এখন থেকে সবকিছু সঠিক পথে পরিচালনার জন্য আমরা একটি নতুন রাস্তা তৈরি করছি। পরে যারা আসবে তাদের এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হবে। তাহলেই শান্তি ফিরে আসবে। যদি পুনরায় দুর্নীতি শুরু হয় তাহলে জনগণ আবারও ফুঁসে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, সবাই বলছে এত কিছু করার পরও মূল্যস্ফীতি কেন কমছে না। এর প্রধান কারণ আগের সরকারের ভুল নীতি। এতদিন বিবিএসসহ অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান যেসব তথ্য দিয়েছে সেগুলোতে প্রশ্ন রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি তথ্যপ্রবাহ সঠিক রাখতে। সঠিক তথ্য না এলে অন্য তথ্যগুলো ভুল আসবে। নীতিমালা প্রণয়ন ঠিক হবে না। এতদিন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল না বলে এ সমস্যা হয়েছে। একের পর এক দুর্নীতি ও অন্যায় হয়েছে, যার মাশুল দিচ্ছে দেশের জনগণ।
ফিজিবিলিটি টেস্ট না করেই অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, একটি প্রজেক্ট থেকে কত টাকা আয় হবে, কত টাকা ব্যয় হবে, কতদিন সময় লাগবে এবং এসব প্রজেক্টের বিপরীতে নেয়া ঋণের সুদের হার কী হবে- এসব বিষয়ে কোনো গবেষণা করা হয়নি। উচ্চ সুদে ঋণ নেয়া হয়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পরই একটি সংস্থা আমাদের উচ্চ সুদে ঋণ দিতে চেয়েছিল। আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ উচ্চ সুদের ঋণ নিলে আমরা পরিশোধ করতে পারবো না।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, উইথ ডিউ রেসপেক্ট আমি বলতে চাই- সাবেক গভর্নর ৪২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে বিক্রি করতে করতে ৩০ বিলিয়নে নিয়ে এলেন। কারণ ছিল বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল করা। কিন্তু কোনো কাজই হয়নি। ১২ বিলিয়ন ডলার নিঃশেষ করে তিনি এখন ঘুমিয়ে আছেন। কোথায় আছেন জানি না। আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পলিসিগত লিগ্যাসি বা নীতিগত দীর্ঘসূত্রতা পেয়েছি। সে কারণে কোনো কিছু পরিবর্তন করতে চাইলেই দ্রুত করা যায় না।


http://dlvr.it/TGCqVq

Post a Comment

0 Comments