Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পূর্ণাঙ্গ কমিটি না পেয়ে গজারিয়া ছাত্রলীগের মহাসড়ক অবরোধ

আল্টিমেটামের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেও গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না করায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেছে পদ প্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা। অবরোধে মহাসড়কটির ঢাকাগামী লেনে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধকারীরা মহাসড়ক থেকে চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শনিবার দুপুর বারোটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ায় অংশের বিসমিল্লাহ হাইওয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গেলে কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি আনন্দ মেলা সিনেমা হলের সামনে গিয়ে পুনরায় ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগে পদ প্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা। এসময় গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য পারভেজ আহমেদ সুমন তার বক্তব্যে বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা না করায় গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পদ প্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনের প্রথম ধাপে আমরা বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করলাম। দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব। আরেক ছাত্রলীগ কর্মী তাফসীরুল কোরআন শান্ত বলেন, বর্তমানে ৬ সদস্যের পকেট কমিটিতে চলছে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ, যাদের মধ্যে চারজনই নিষ্ক্রিয়। এদিকে ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে কমিটি থাকলেও অধিকাংশ ইউনিয়নের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নিষ্ক্রিয়। অনেকে আবার বিদেশে চলে গেছেন, কেউ বিয়ে করে সংসার করছেন, কেউ আবার ছাত্র রাজনীতি ছেড়ে চাকরি করছেন। এভাবে কখনওই ছাত্রলীগ চলতে পারে না। বর্তমান কমিটির কর্মকাণ্ডে অজস্র নেতা-কর্মীর মনে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমরা পথে নেমেছি। উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার সম্মেলন ছাড়াই ২০২১ সালে ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের গজারিয়া উপজেলা শাখার ৬ সদস্যবিশিষ্ট পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয় যথাক্রমে হাবিবুর রহমান হাবিব ও ইউনুস প্রধানকে। ৬০ দিনের মধ্যে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা করে জমা দিতে বলা হলেও পেরিয়ে গেছে প্রায় দুই বছর। বারবার তাগাদা দেয়ার পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বর্তমান কমিটির ওপর হতাশ অধিকাংশ নেতা-কর্মী। সর্বশেষ গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে একযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মী ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার ভেতর পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা দিলে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তবে ওই সময়ের ভেতর পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা না করায় শনিবার বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ডাক দেন তারা। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক ইউনুস প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাগজ তারা ইতোমধ্যে জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে জমা দিয়েছেন। শিগগিরই তা অনুমোদন হবে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাব জমা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা।
http://dlvr.it/SwBqjJ

Post a Comment

0 Comments