ভারতের উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গ ধসের ১৭ দিন পর অবশেষে মুক্তি। একে একে বের হরে আনা হচ্ছে শ্রমিকদের। এখন পর্যন্ত তিন শ্রমিককে স্ট্রেচারে করে বের করে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে প্রথম শ্রমিককে বের করে বন্দিদশা থেকে মুক্ত বাতাসে নিয়ে আসা হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে আটকে পড়াদের স্বজনসহ উপস্থিত রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি।
গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামে। এ ঘটনায় ভেতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। এতদিন ধরে তাদের বের করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তাদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না কিছুতেই।
খোঁড়ার সময়ে গত শুক্রবার নতুন বাধা আসে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরের লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যায় আমেরিকান খননযন্ত্র। ফলে উদ্ধারকাজ থমকে যায়।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে, উদ্ধার করার আগপর্যন্ত সুড়ঙ্গের শ্রমিকদের সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল। পাইপের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা চলছিল; পৌঁছে দেয়া হচ্ছিল খাবার, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
সুড়ঙ্গে থাকাকালে উত্তরকাশীর শ্রমিকদের প্রথম ভিডিও প্রকাশ্যে আসে গত মঙ্গলবার। পাইপের মাধ্যমে ক্যামেরা পাঠান উদ্ধারকারীরা। সেখানেই দেখা যায় সুড়ঙ্গের ভিতর কীভাবে, কোন অবস্থায় রয়েছেন তারা।
খননযন্ত্র ভেঙে যাওয়ায় দুইভাবে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ নতুন করে শুরু হয়। খননযন্ত্রের সব টুকরোগুলো সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনার পর খনি শ্রমিকরা সেখানে ঢুকে যন্ত্র ছাড়াই খোঁড়া শুরু করেন। ১০-১২ মিটার পথ সেভাবেই খুঁড়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিল। এই প্রক্রিয়াকে বলে ইঁদুর-গর্ত(র্যাবিট হোল) প্রক্রিয়া। ইঁদুরের কায়দায় গর্ত খুঁড়ে সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বের করার পরিকল্পনা করা হয়।
এ ছাড়া সুড়ঙ্গের উপর দিক থেকে উল্লম্বভাবে খোঁড়ার কাজও শুরু হয়েছিল। ৮৬ মিটারের মধ্যে মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল ৪২ মিটার।
পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স, ওষুধপত্র আগে থেকেই শ্রমিকদের জন্য ঘটনাস্থলে মজুত রয়েছে; প্রস্তুত রয়েছে অস্থায়ী হাসপাতালও।
দরকার হলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাদের ঋষিকেশ এমসে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। ৪১ জনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
http://dlvr.it/SzQcjB
0 Comments