Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ঝালকাঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ

ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শহরতলীর কীর্তিপাশা মোড় এলাকায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে হামলায় হয় এবারের নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়া সাবেক এই চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ওপর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উঠান বৈঠক চলাকালে ভোট চেয়ে যখন জেলা আওয়ামীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন রিজভী বক্তব্য দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই দর্শক সারি থেকে শুরু হয় হামলা। প্রার্থী সুলতান হোসেন খান তখন মঞ্চেই ছিলেন।
হামলাকারীরা মঞ্চের দিকে অগ্রসর হয়ে আঘাত করেন প্রার্থী সুলতান ও তার দুদিকে থাকা অন্যদেরও। প্রার্থী সুলতানকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন রুহুল আমিন রিজভী সহ অন্তত ১০ জন।
এ ছাড়া সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারী, শিশুসহ আহত হন আরও কয়েকজন। ভাংচুর করা হয় সভাস্থলের প্যন্ডেল, চেয়ার, টেবিল, মাইক, লাইট এবং সুলতানের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার।
সুলতান খানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাকারীরা এমপি আমির হোসেন আমু সমর্থিত আনাররস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খান আরিফুর রহমানের লোক। জেলা ছাত্রলীগের অনেকে এই হামলায় অংশ নিয়েছেন বলেও দাবি সুলতান সমর্থকদের।
আহত সুলতান হোসেন খানকে চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিক্যল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুলতান হোসেনর বাম ঘাড়ে আঘাত লেগেছে, মাথা এবং শরীরেও ফুলা জখম হয়েছে।
সুলতান হোসেনের স্ত্রী কহিনুর খান অভিযোগ করেন, উঠান বৈঠক চলাকালে আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী খান আরিফুর রহমানের ক্যাডার বাহিনী এসে অতর্কিত হামলা চালায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে খান আরিফুর রহমান বলেন, কীর্তিপাশা মোড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সভায় কে বা কারা হামলা করেছে, তা আমি কিছুই জানি না। ঘটনার সময় আমি পোনাবালিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনে প্রচার কাজে ছিলাম।
এদিকে হামলার ঘটনায় সদর থানায় মামলা করেছে সুলতান পক্ষ। এতে এমপি সমর্থিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী খান আরিফসহ ১৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে বাদী হয়েছেন কীর্তিপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন খান
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহিতুল ইসলাম বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ঘটনা এখন হতে পরে আগেই জেনেছে পুলিশ। সভাস্থলে পুলিশ আগে থেকেই ছিল। তবে পুলিশ পর্যাপ্ত না থাকায় এমনটা হয়েছে বলেও শিকার করেন এই কর্মকর্তা।


http://dlvr.it/T6vRMK

Post a Comment

0 Comments